TRENDING:

Subrata Mukherjee: বিধায়ক হিসেবে পঞ্চাশ বছর পার করেই থামলেন সুব্রত, শুধু রাজনীতির নয়, ক্ষতি অনেক বেশি

Last Updated:

একাধিক বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে রাজ্য বিধানসভায় গিয়েছেন৷ রাজ্য রাজনীতির অপরিহার্য মুখ হয়ে উঠেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ১৯৭১ সালে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রথম বার বিধায়ক নির্বাচিত হন৷ সেই হিসেবে দেখলে প্রথম বার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর ৫০ বছর রাজনীতিতে কাটিয়ে ফেলেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee political career)৷ ১৯৭২ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় তথ্যসংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন৷ রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হওয়ার নজির এখনও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) নামেই রয়েছে৷
প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷
প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷
advertisement

এর পর একাধিক বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে রাজ্য বিধানসভায় গিয়েছেন৷ রাজ্য রাজনীতির অপরিহার্য মুখ হয়ে উঠেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee Expires) ৷ কখনও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসে মেয়র হয়েছেন, আবার সেই তৃণমূলের সঙ্গে মতবিরোধে ফিরে গিয়েছেন কংগ্রেসে৷ ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন সুব্রত৷ কলকাতার ৩৬ তম মেয়র ছিলেন তিনি৷

advertisement

আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়

সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) বরাবরই বঙ্গ রাজনীতিতে এক অন্যরকম চরিত্র৷  ১৯৭১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকেই জিতে প্রথম বার  বিধায়ক হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ এর পর  জোড়াবাগান, চৌরঙ্গী কেন্দ্র থেকেও বিধায়ক হয়েছেন৷ কিন্তু ২০১১ সাল থেকে অবশ্য বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে তাঁর জয় একরকম নিয়মে পরিণত হয়েছিল৷ মাঝে ২০১৯ সালে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়তে গিয়ে অবশ্য পরাজিত হন সুব্রত৷

advertisement

গত দশ বছর ধরে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের ভারও তাঁর বিশ্বস্ত হাতে দিয়েই নিশ্চিন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যার সুফলও তৃণমূল পেয়েছে হাতেনাতে৷ এবারেও গ্রাম বাংলায় নিরঙ্কুশ দাপট দেখিয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ ১০০-র বেশি আসনে জিতেছে তারা৷ যার বড় কৃতিত্ব অবশ্যই সুব্রতর হাতে থাকা পঞ্চায়েত দফতরের৷

আরও পড়ুন: 'সুব্রত দা'র দেহ দেখতে পারব না', পুজো ফেলে হাসপাতালে ছুটে এলেন মমতা

advertisement

শুধু পঞ্চায়েত দফতর নয়, বাম আমলে মাত্র পাঁচ বছর কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়ে শহরের ভোলবদলের কৃতিত্ব দেওয়া হয় সুব্রতকে৷ কর আদায় বৃদ্ধি থেকে শহরের পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা বা পুরসভার কর্মসংস্কৃতিতে বদল আনা, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সুব্রত৷ তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঙ্কট হোক বা সরকারের প্রশাসনিক কোনও সমস্যা, জরুরি পরামর্শ দিয়ে সবক্ষেত্রেই ক্রাইসিস ম্যানেজার হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয় সুব্রতদা৷

advertisement

ষাটের দশকে কংগ্রেসি ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। শুরু করেছিলেন ছাত্র রাজনীতি দিয়েই।  প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান তাঁর। প্রয়াত সোমেন মিত্রের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন সুব্রত৷ প্রিয়- সৌমেন- সুব্রতর নাম একসময় বাংলার রাজনীতিতে একসঙ্গে উচ্চারিত হত৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ঘরে বসে এইভাবে হচ্ছে 'মোটা' ইনকাম, পথ দেখাচ্ছেন গৃহবধূ! বড় সুযোগ মিস করবেন না
আরও দেখুন

ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় যোগাযোগ ছিল নিবিড়। ইন্দিরা যেদিন মারা যান, সেদিন রাজীব গান্ধির পাশে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে আনার পিছনে চাণক্য বলে যাঁদের মানা হয়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি অনেক দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন৷ সোমেন মিত্রের মৃত্যুতেও মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছিলেন সদাহাস্য সুব্রত৷ দুই অগ্রজের মতো এবার নিজেও চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন সুব্রত!

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Subrata Mukherjee: বিধায়ক হিসেবে পঞ্চাশ বছর পার করেই থামলেন সুব্রত, শুধু রাজনীতির নয়, ক্ষতি অনেক বেশি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল