বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) শোকস্তব্ধ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে (BJP on Subrata Mukherjee Death)। তিনি বলেছেন, 'শেষ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সুব্রতবাবু। আশা করেছিলাম তাঁর মতো লড়াকু ব্যক্তি এই লড়াইটা জিতে যাবে। কিন্তু আজ যখন চারদিকে আলো তখনই তাঁকে হারাতে হল আমাদের। আমরা ছোটবেলা থেকে সুব্রতদার নাম শুনতাম। সব সময় তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন। গত ৫৫ বছর তাঁর সান্নিধ্য ভোগ করেছি। বিধানসভায় অনেক ছোটখাটো হাসি-ঠাট্টা গল্প গুজব শুনেছি। সুব্রতদার প্রয়াণে বাংলার রাজনীতি থেকে একটা ধারা হারিয়ে যাবে। একজন সফল রাজনীতিবিদকে হারালাম আমরা'।
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতালে একে-একে সকলেই, প্রিয় 'সুব্রত দা'-কে হারিয়ে শোকে পাথর
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, 'দক্ষিণপন্থী রাজনীতির অনুসারী হলেও আমাদের মধ্যে আদর্শগত মতপার্থক্য ছিল। ওঁর রাজনৈতিক জীবন সত্যিই ঈর্ষণীয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা ছিলেন, উনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। এমন দিনে তাঁর চলে যাওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন ঈশ্বর। সুব্রতদার আত্মার শান্তি কামনা করি।'
আরও পড়ুন: কালীপুজোর দুপুরে বাথরুম থেকে ফিরেই ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট! আর সাড়া মিলল না...
ট্যুইট করে শোকবার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, 'প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, সমর্থক ও অনুরাগীদের আমার সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। ওম শান্তি'। রাজনীতিতে অত্যন্ত বর্ণময় চরিত্র হিসেবে পরিচিত সুব্রত মুখোপাধ্যায় শেষদিন পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন-সহ রাজ্যের চারটি দফতরের মন্ত্রী, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুব্রত স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন। তাঁকে আইসিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। রাত ৯টা ২২মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ২৪ অক্টোবর, রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার পর সুব্রতকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। শ্বাসকষ্ট বাড়ায় উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ।