সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের (Subrata Mukherjee Demise) পরে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে সেই ধারাবাহিক 'চৌধুরী ফার্মাসিউটিক্যালস'-এর নাম। যে সিরিয়ালে সুব্রতর উল্টোদিকে অভিনয় করেছিলেন মুনমুন সেন৷ সুব্রতর বিপরীতে থাকা নায়িকা মুনমুন সেন অবশ্য চুপ (Moon Moon Sen Reaction on Subrata Mukherjee Demise)। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে শুধু বলেছেন, "মনটা খুব খারাপ। কিছু বলার অবস্থায় নেই।" গলায় বন্ধু হারানোর যন্ত্রণা৷
advertisement
আরও পড়ুন: প্রশংসা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও, মেয়র হিসেবে মাত্র পাঁচ বছরেই নিজেকে প্রমাণ করেন সুব্রত
কিছুদিনে আগেই নব্বই দশকের সেই বিখ্যাত সিরিয়াল নিয়ে চর্চা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ সুদীপা চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কে দিয়েছিলেন নায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি।
সংকটজনক সুব্রত মুখোপাধ্যায়- এই শব্দ বন্ধ নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, কালীঘাটে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাসভবনে। সেখানে তখন হাজির ছিলেন সুদীপা। তখনও জানা যায়নি। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সদ্য প্রয়াত শব্দের ব্যবহার করতে হবে। রাজনীতির ময়দানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন দুঁদে নেতা। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই অবগত। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন সে কথা কি সকলে জানতেন? যাঁরা জানতেন তাঁরা আজ সকলেই সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: বিধায়ক হিসেবে পঞ্চাশ বছর পার করেই থামলেন সুব্রত, শুধু রাজনীতির নয়, ক্ষতি অনেক বেশি
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে ছিলেন আবার মুনমুন সেন। সুব্রতবাবুর সেই সময়ের সেলুলয়েড জার্নির কথা আরও একবার উঠে এসেছিল সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক ওয়ালে। ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন সুদীপা, সেই ছবিতে এক ফ্রেমে ধরা দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুদীপা নিজে। সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সুদীপা। জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “এঁদের মধ্যে সবচেয়ে আগে টেলিভিশনের জন্য ‘হিরো হিসাবে শ্যুটিং করেছেন কোনজন? কোন সিরিয়ালে? বলতে পারবেন? ভালো করে ছবি দেখে, একটু ভেবে উত্তর দিন।'
উত্তর দিয়ে দিয়েছিলেন নেট নাগরিকরা, সুদীপার কমেন্ট বক্সে। দূরদর্শনে মুনমুন সেনের বিপরীতে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সুব্রতবাবু। ধারাবাহিকের নাম ছিল 'চৌধুরী ফার্মাসিউটিক্যালস'। স্মৃতি হাতড়ে সুদীপার কমেন্ট বক্সে এক নেট নাগরিক লিখেছিলেন, “টালিগঞ্জ গল্ফ ক্লাবের সুইমিংপুলে শুটিং হয়েছিল৷ আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেখানে উপস্থিত থাকার এবং সুব্রতদা সেদিন সবাই কে বিরিয়ানি খাইয়ে ছিলেন।”য
দিও ১৪টি পর্বের পরেই সেই ধারাবাহিক সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। দাবি করা হয়েছিল, মূল ভাবনাকে সরে গিয়ে নাকি অন্যভাবে ধারাবাহিকটিকে দেখানো হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকের পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়, যিনি সম্পর্কে সুদীপার স্বামীও।