যদিও সুব্রত বক্সির এই মন্তব্যের বাক্য গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, পুরনো এবং নতুনদের একসঙ্গে লড়ে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও তাই চান বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ৷
এ দিন তৃণমূল ভবনে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে অংশ নিয়ে সুব্রত বক্সি বলেন, ‘বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম ভাবছে তৃণমূল ভেঙে যাবে, তাতে জল ঢেলে দিলাম৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, আশা করি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবেন, জোড়া ফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন৷’
advertisement
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনেই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বৈঠকে নবান্ন! জেলাশাসকের বড় নির্দেশের ইঙ্গিত আজই
দলের রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সুব্রত বক্সির প্রতি শ্রদ্ধা আছে। তিনি বিশ্বস্ত, অনুগত সৈনিক। তবে অভিষেক পিছিয়ে যাবেন না আশা করি- এই বাক্য গঠনে সমস্যা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন নেত্রী। অভিষেক দলে ছিলেন আছেন থাকবেন। এর বাইরে আলোচনা হতেই পারে না। যারা জীবন বাজি রেখে দল করেন, তাঁরা জানেন মমতার নেতৃত্বে, অভিষেক লড়বে। মানুষের স্বার্থে তৃণমূল শেষ কথা। সেনাপতির ভুমিকায় অভিষেক। মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অভিষেকের নেতৃত্বে কর্মসূচি হয়েছে তো। ও দলকে এগোনোর কথা বলছে। অভিষেক যথা সময়ে কথা বলবে।’
তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা অকারণ বিভাজন হতে দিচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সব জেনারেশন একসঙ্গে চলবে। নেতাদের থেকে বেশি ঝুঁকি কর্মীরা নিচ্ছেন। কর্মীদের আবেগের বাইরে যাওয়া হবে না। ঐক্য রাখার দায়িত্ব সকল স্তরের।’