সুবীরেশের আইনজীবী তমালকান্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁর ২৬ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইনজীবী থাকার আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি, রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।’’
গতকাল, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই আগেই রেইড চালিয়েছিল উত্তরবঙ্গে তাঁর অফিস ও কলকাতার বাড়িতে।এই নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়। এই প্রথম কোনও উপচার্যকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
advertisement
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টকে ‘বড় আপডেট’ দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন
সোমবার নিজাম প্যালেসে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন সুবিরেশ বলে দাবি সিবিআইয়ের। এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ নিজাম প্যালেস-এ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি, এদিন সিবিআই-এর দল তল্লাশি করে সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট-এ।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দেবেন নার্সরাই, পশ্চিমবঙ্গেও এবার আধুনিক চিকিৎসার মডেল
২৪ অগাস্ট প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালায় সিবিআই, চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। সিল করে দেওয়া হয় কলকাতায় বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ফ্ল্যাট। তল্লাশি চলে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের উত্তরবঙ্গের বাংলো ও অফিসেও। সেদিনই নিজের বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে নাটকীয় ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন সুবীরেশ। দাবি করেছিলেন, তাঁর আমলে কোনও নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। সোমবার সেই বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হল সুবীরেশকে।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শিলিগুড়িতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে প্রাক্তন বিচারপতি আর কে বাগের কমিটির দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ। বাগ কমিটির সেই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল সুবীরেশের নাম।