এরপরই অভিষেক স্তুতি করে মুকুল পুত্র বলেন, 'অভিষেক প্রথম দেখলেই জিজ্ঞেস করত কাকিমা কেমন আছে? একসাথে বড় হয়েছি আমরা। ও আজ একটা ন্যাশনাল ফিগার। আমি হেরে গেছি। তার পরেও যে ভাবে খোঁজ নিয়েছে। সেই কারণে আমি চিরকৃতজ্ঞ। বাবা ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা, এখন কী খাচ্ছেন, প্রতিনিয়ত খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।'
বাংলায় বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতিকেও এদিন একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, 'আমরা পাঁচ মাস আগেও এদের অবহেলা করেছি। অনেকে আমার মায়ের জন্য আজ চাদর চড়াচ্ছে। বাংলার রাজনীতিতে ভেদাভেদ একদম ঠিক হয়নি। আমার প্রায়োরিটি আমার মা।
advertisement
বিজেপির সমালোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসাও ধরা পড়েছে শুভ্রাংশু রায়ের গলায়। তিনি বলেন, 'একটা দল জনসমর্থনের ক্ষমতায় এসেছে। তার সমালোচনা করার আগে আমরা কেন হেরে গেলাম সেটা ভাবা উচিত। Covid পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করলেন, ইয়াস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করলেন, তাকে স্যালুট করা উচিত।'
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, আসলে শুভ্রাংশু নয়, এই সমস্ত কথাই আসলে মুকুল রায়ের 'মনের কথা'। মুকুলের সাম্প্রতিক গতিবিধি, বিজেপিকে নিয়ে নিষ্প্রভ ভাব, মুকুলের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে হাসপাতাল যাত্রা, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর অভিষেক-বন্দনা, সর্বোপরি মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষ সংঘাত মাথাচাড়া দেওয়া, সব মিলিয়ে মুকুল রায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। যদিও মুকুল রায় নিজে এখনও তৃণমূলে ফেরার কথা বলেননি। তবে, পথ যে তৈরি হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমশই।
ঘনিষ্ঠ মহলে মুকুল নিজেও বলেছেন, 'অভিষেক আর শুভ্রাংশু ছোট বেলার বন্ধুত্ব। ওঁরা একে অপরকে ভালো মতো চেনে, জানে। ওঁদের মধ্যে এমন সম্পর্কই স্বাভাবিক।' অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, যে অভিষেকের সঙ্গে সংঘাতের কারণেই একদা তৃণমূল ছেড়েছিলেন মুকুল, তাঁকে নিয়ে এতটা সুর নরমের মাধ্যমেই মনের বার্তা আসলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন 'চাণক্য' মুকুল।
----কমলিকা সেনগুপ্ত
