রাজ্যপাল লা গণেশন কিংবা রাজভবনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনও বার্তা না দেওয়ায় নিজের ক্ষোভ সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বললেন, 'আমরা রাজ্যপালের ভূমিকায় আশ্চর্য হয়েছি। ওনার তরফে কোনও ট্যুইট নেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও বক্তব্য নেই, রাজভবনের তরফ থেকেও কোনও বার্তা নেই'। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেন, 'আমাদের পরিষদীয় দল রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ব্যাপারে আমি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে, বিজেপির পরিষদীয় দল তাঁর সঙ্গে অখিল গিরি ইস্যুতে বৈঠক করতে চান। আমি চিঠি লিখে বলেছি, আপনি রাজ্যের বাইরে আছেন। কবে আসছেন দয়া করে জানাবেন। আশা করি রাজ্যপাল মহদয় আমাদের সময় দেবেন'।
advertisement
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ফের চা বাগানে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য বানারহাটে
শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, 'রাষ্ট্রপতি-সহ দেশের প্রায় সাড়ে ১০ কোটি আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্তদের অপমান আমরা কোনও অবস্থাতেই মেনে নেব না।' অবিলম্বে অখিল গিরিকে বরখাস্ত এবং আইন অনুযায়ী গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, 'আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব'। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশনও এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছে। ওড়িশা, অসম-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের থানায় থানায় অখিল গিরির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে অপমানজনক মন্তব্য করার বিষয় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এফআইআর হিসেবে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাতেও অনেক থানাতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে তা এফআইআর হিসেবে গণ্য করা হয়নি'।
আরও পড়ুন: সারা কোচবিহার ভিড় করেছে 'এক কাপ চা'-এ! জমে উঠেছে আড্ডাও
তাঁর অভিযোগ, 'আমরা জানি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ নেবেন না। তাই আমরা তিন দিন অপেক্ষা করব। তারপর আদালতে যাব' বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। তবে রাজ্যপাল প্রসঙ্গে যেভাবে অখিল গিরির মন্তব্যকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী কার্যত নিজের ক্ষোভ প্রকাশ্যে প্রকাশ করলেন তাতে রাজ্যপাল এবং বিরোধী দলনেতার মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। তবে কী কারণে রাজ্যপালের ওপর হঠাৎ শুভেন্দু চটলেন তা নিয়ে শোরগোল, চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।