রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের প্রশাসকই এর উস্কানি দাতা। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও মমতা-অভিষেককে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রসন্ন রায় সিবিআই-এর জালে। এজেন্ট হিসেবে সে কাজ করত বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পার্থই হল নিয়োগ দুর্নীতির মূলে। তবে টাকা তুলেছে অভিষেক। তিনি বলেন, "৭৫ ভাগ গিয়েছে মমতা-অভিষেকের কাছে। আর ২৫ শতাংশ নিয়েছে 'অপা' সিন্ডিকেট।"
advertisement
আরও পড়ুন : ‘সবাইকে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব...’, ফের বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ!
'তৃণমূলের ফর্মুলা' বলে কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু অধিকারী আজ বলেন, "এই টাকা দু'ভাবে উঠেছে। একদিকে তৃণমূলের বিধায়করা টাকা তুলে কিছুটা রেখে বাকিটা পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের ফর্মুলা হল ৭৫ শতাংশ কলকাতায় পৌঁছে দিতে হয়। আর ২৫ শতাংশ কাছে রাখা যায়। সেই ফর্মুলা অনুযায়ী, কিছু নেতা, বিধায়ক, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা দিয়েছে। আর কিছু নান্টু প্রধান মারা গিয়েছে, কালিপদ পতি বেঁচে রয়েছেন। রয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডলের মতো এজেন্টরা। এবাই সব জায়গায় টাকা তুলে দিয়েছে।"
আরও পড়ুন : 'যতক্ষণ না...,' কেন সরবেন না 'অসৌজন্যমূলক' মন্তব্য থেকে! সাফ জানিয়ে দিলেন সৌগত
শুভেন্দু অধিকারী আরও একধাপ কটাক্ষ শানিয়ে বলেন, "যদি পার্থ-অপা সিন্ডিকেটের ওপরের দিকে যান, তাহলে অভিষেক পড়বে। আর নিচের দিকে নামলে প্রসন্ন রায় থেকে কালিপদ পতিরা রয়েছেন, যাঁরা এজেন্ট হিসেবে ছিলেন। বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, "এসএসসিতে আবেদন না করেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। যা সম্ভব হয়েছে এজেন্টদের মাধ্যমে। তবে ইডি-সিবিআই-এর ওপর আস্থা রেখে আগামী দিনে তদন্তকারী সংস্থাই এই দুর্নীতির মূলোৎপাটন করবে বলে আশা জানিয়েছেন শুভেন্দু।