শুভব্রতর বাড়ি থেকে একাধিক দেশি-বিদেশি মেডিক্যাল জার্নাল উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, ইন্টারনেটে এই ব্যাপারে দীর্ঘ পড়াশুনা করেছিলেন শুভব্রত। গতকাল গ্রেফতারের পর এদিনও তাঁকে জেরা করা হয়। তাঁর মেডিক্যাল টেস্টও করা হয়েছে। শুভব্রতকে জেরা করতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বাবা গোপাল মজুমদারকেও।
মরা মানুষকে জীবিত করার গবেষণা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই হচ্ছে ৷ সেটা জানতেন শুভব্রত ৷ এ সংক্রান্ত নানা বইও তিনি সংগ্রহ করেছিলেন ৷ বিভিন্ন বিদেশি ভাষা জানতেন শুভব্রত ৷ সেকারণে রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে মৃতদেহ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বই কিনে এনেছিলেন ৷ ইন্টারনেটেও এই সংক্রান্ত বিভিন্ন জার্নাল শুভব্রত পড়তেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তার বিশ্বাস ছিল , যদি কোনওদিন মৃত মানুষ জীবিত হওয়ার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয় ৷ তাহলে তার মা-ও বেঁচে উঠবেন একদিন ৷
advertisement
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ছোটবেলা থেকেই অতি আদরে বড় হয়েছে শুভব্রত। বাবা-মা দু’জনেই ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। একমাত্র ছেলের কোনও শখ-আহ্লাদেই টান পড়েনি কখনও। ছেলে যা চাইতেন তাই করতেন বাবা-মা ৷ শুভব্রতকে কোনও কিছুতেই বারণ করা হত না ৷ খেলা পাগল শুভব্রত লেদার টেকনোলজির ছাত্র ৷ বরাবরের শান্ত স্বভাবের ছেলে যে বাড়িতে এমন কাণ্ড করছেন, তা পড়শিরা ভাবতেও পারেননি ৷
মায়ের পেনশনের টাকা হাতানোর লোভেই কি এমন কাজ করেছিলেন শুভব্রত ? এমন দাবি উঠলেও হঠাৎ এর জন্য মায়ের দেহ সংরক্ষণের কী প্রয়োজন , সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে ৷