প্রবেশিকা বিতর্কের জেরে উপাচার্য ঘেরাও উঠে গেলেও গতকাল রাত থেকে অনশনে বসেছে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷ আজ দুপুর পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৷ পড়ুয়াদের দাবি না মানলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা ৷ গতকাল অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আন্দোলনকারীদের চিঠি দেন উপাচার্য ৷ তবে সেই চিঠিতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি ৷ দাবিপূরণ না হলে অনশন প্রত্যাহার নয়, পাল্টা চিঠিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা ৷
advertisement
আরও পড়ুন: আমেরিকার রেস্তোরাঁয় পরপর গুলি, মৃত ২৫ বছরের ভারতীয় ছাত্র
পড়ুয়াদের দাবি, যেভাবে প্রতিনিয়ত সরকারি হস্তক্ষেপ আসছে ৷ তা মেনে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্বাধিকার রয়েছে ৷ সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারের দাবি মেনে নেওয়া একেবারেই ঠিক নয় বলে দাবি করলেন আন্দোলনকারীরা ৷ অন্যদিকে, ৩ জুলাই থেকে ৬ জুলাই অ্যাডমিশন টেস্ট নেওয়ার কথা ছিল। ৯ জুন সেই নোটিসও বেরিয়েছিল। কিন্তু, সোমবার আচমকা সেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ছাত্র বিক্ষোভ। রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, রেজিস্ট্রার এবং কর্মসমিতির অন্য সদস্যদের। পরে ঘেরাও তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এই মুহূর্তে আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা ৷