জানা গিয়েছে, কালীপুজোর দিন সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে৷ মেট্রো রেল সূত্রে খবর, গিরিশ পার্ক স্টেশন থেকে শহিদ ক্ষুদিরামগামী মেট্রোয় উঠে পড়ে ওই সারমেয়টি৷ মেট্রোর এসি কামরার মেঝেতে দিব্যি বসেও পড়ে সে৷ এমন সহযাত্রীকে দেখে স্বভাবতই চমকে উঠেছিলেন মেট্রোয় থাকা অন্যান্য যাত্রীরা৷ অনেকেই এই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতে শুরু করেন৷ সহযাত্রীদের অতিরিক্ত কৌতূহলে খানিক বিরক্ত হয়েই হয়তো মাঝেমধ্যে জায়গা ছেড়ে উঠে কামরায় ইতিউতি ঘুরেও বেড়ায় সে৷ যদিও সহযাত্রীদের একেবারেই বিরক্ত করেনি সারমেয়টি৷ বরং মেট্রোর কামরার ভিতরে শান্ত হয়েই আগাগোড়া বসেছিল সে৷ ভাবখানা এমন যেন আগেও মেট্রো যাত্রার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার৷ কেউ কেউ তো আবার ঘাড়, মাথা চুলকে আদরও করে দেয় তাকে৷
advertisement
যদিও এই ঘটনায় মেট্রো স্টেশনের নজরদারি নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷ মেট্রোর কামরার ভিতরের সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রথমে ওই সারমেয়টিকে চিহ্নিত করেন মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের স্টেশন মাস্টার৷ সেখান থেকেই খবর যায় মেট্রোর কন্ট্রোল রুমে৷ এর পর কন্ট্রোল রুম থেকে যোগাযোগ করা হয় ওই ট্রেনের মোটরম্যানের সঙ্গে৷ ট্রেনটি শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে পৌঁছলে সেখানকার আরপিএফ কর্মী এবং অন্যান্য কর্মীরাই কুকুরটিকে ট্রেন থেকে নামানোর ব্যবস্থা করেন৷
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে স্টেশনের আরপিএফ সহ মেট্রোর অন্যান্য কর্মীদের নজর এড়িয়ে প্ল্যাটফর্মে এসে ট্রেনেও উঠে পড়ল ওই পথ কুকুরটি? এ বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷ তবে মেট্রো সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির তাণ্ডবেই সম্ভবত ভয় পেয়ে কর্মীদের নজর এড়িয়ে কুকুরটি মেট্রোর স্টেশনের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল৷