স্টোনম্যান আতঙ্কের পাশাপাশি ওমপ্রকাশের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার ক্ষেত্রেও গাফিলতি হয়েছে তাঁর। বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যরা ওমপ্রকাশকে আহত অবস্থায় দেখার পরেই তাঁকে প্রথমে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, অভিযোগ সেখানে ভর্তি না নিয়ে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর পরিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে নিয়ে যান, শেষ পর্যন্ত ওমপ্রকাশকে এমারজেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তবে পরিবারের অভিযোগ, শুধুমাত্র মাথায় ব্যান্ডেজ করে ফেলে রাখা হয় ওমপ্রকাশ। তারপরেও সারাদিন একবারের জন্যেও চিকিৎসক দেখতে আসেননি। এরপর আজ সকাল থেকে পরিবারের লোক উত্তেজিত হয়ে ওঠে, পরে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে সুপার চিকিৎসার আশ্বাস দেন।
advertisement
তবে শেষরক্ষা হয়নি। বিকেল পাঁচটা নাগাদ সুপার স্পেশালিটি ব্লকে তাঁকে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও মিনিট কয়েকের মধ্যেই ওয়ার্ড পরিবারকে জানান ওমপ্রকাশের মৃত্যু হয়েছে। ওমপ্রকাশের মা রীতা শর্মা বলেন, "আমার সন্তান কোনও দোষ করেনি, তাও কেন ওকে এ ভাবে বিনা চিকিৎসায় চলে যেতে হল। যদি অপারেশন টেবিলে মারা যেত, আমার কোনও অভিযোগ থাকত না, কিন্তু নূন্যতম চিকিৎসাই পেল না।'
এ দিকে, মারা যাওয়ার খবর শুনেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিবার। ঘটনাস্থলে আসে বউবাজার থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ দু-পক্ষের বাদানুবাদের পর তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিবার শান্ত হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, একদিন পর্যবেক্ষণে রেখে করোনা পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচার করা হত।যদিও প্রশ্ন উঠেছে, গুরুতর আহত এই ব্যক্তিকে কেন জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা হল না!
AVIJIT CHANDA