ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুল ভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ করে তা পাঠিয়ে দেবে এসএসসি তে বলেই সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন পুজোর আগেই তৃণমূলে প্রস্তুতি শুরু বুথ স্তরীয় কর্মী সম্মেলনের
তবে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়ে দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু রদবদল আনা হয়েছে নিয়মে। সূত্রের খবর প্রধান শিক্ষক পদের জন্য যে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে পুরো লিখিত পরীক্ষাই হবে ওএমআর শিটে। মোট ১০০ নম্বরের হবে পরীক্ষা। এর মধ্যে ৯০ নম্বর হবে ওএমআর শিটে,১০ নম্বরের হবে ইন্টারভিউ।
এসএসসি সূত্রে খবর সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন কী হবে তা বিজ্ঞপ্তি জারির পর ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে ওয়েবসাইট মারফত জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রেও নিয়মে বেশ কিছু রদবদল আনা হচ্ছে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে নিয়মে বলেই সূত্রের খবর। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি নিয়ে যাতে কোন প্রশ্ন না ওঠে তার জন্য একাধিকবার এসএসসি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিকবার বৈঠক করেছেন এই নিয়োগ বিধি নিয়ে।
সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি যদি পাশাপাশি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে নয়া নিয়োগের ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যেই বিধি প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছে এসএসসি। সেই নিয়োগের বিধি ও খুব শীঘ্রই রাজ্যের আইন দপ্তরকে পাঠানো হবে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে চূড়ান্তভাবে সম্মতির জন্য। হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম- দশম ও একাদশ- দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নয়া চাকরিকে হাতিয়ার করে ইতিবাচক বার্তা দিতে চায় রাজ্য। মনে করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগকেই বিশেষভাবে প্রাধান্য দিচ্ছে রাজ্য।