শুধু বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নন। তাঁর দফতর এমন পাঁচটি গাড়ি লিজে নিয়েছে। মন্ত্রী ছাড়াও পাঁচটি গাড়ির একটি বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও অন্যটি মুখ্যসচিবের জন্য। আরও একটি গাড়ি ব্যবহার করবেন বিদ্যুৎ দফতরের বিভাগীয় সচিব। দফতরের আনুষঙ্গিক কাজকর্মের জন্য একটি গাড়ি সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। মন্ত্রীর নিজের কথায় এটি গ্রিন কার। ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে গাড়িতে প্রথম চড়ার অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন,"ডিজেল ও পেট্রোলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়ে। তাই গ্রিন কার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত। গাড়ির ব্যাটারি ঘণ্টা চারেক চার্জ দিয়ে নিলে একশো কিলোমিটার যাতায়াত কোনও ব্যাপারই নয় এই গাড়িতে।"
advertisement
কিন্তু অসুবিধে হল কলকাতায় এখনও সে ভাবে গ্রিন কারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়নি। গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন পয়েন্টও শহরে নিতান্ত হাতে গোনা। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন,"আপাতত দফতরেই গাড়ির ব্যাটারি চার্জের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধর্মতলায় সিইএসসি-র দফতরেও একটি চার্জ পয়েন্ট রয়েছে। খুব শীঘ্রই শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে একাধিক চার্জ পয়েন্ট তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সাধারণত পেট্রোল বা ডিজেল গাড়ির ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ গ্রিন কারের ক্ষেত্রে অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ কম হবে বলেই দাবি মন্ত্রীর দফতর আধিকারিকদের।
PARADIP GHOSH