রাজ্যের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আমফানে প্রায় সাড়ে ২৮ লক্ষ বাড়ি ভেঙেছে ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এই কারণে শুধু বাড়ি ভাঙাতেই ক্ষতির পরিমাণ ২৮ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা ৷ নষ্ট হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমি ও জমির ফসল, যার সর্বমোট ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা ৷
এছাড়া নষ্ট হয়ে প্রচুর ফলের বাগান ও পানের বরজ ৷ উদ্যানপালনে ক্ষতির পরিমাণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৬ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা ৷ নোনা জল ঢুকে পুকুরের পর পুকুর নষ্ট, মরে গিয়েছে মাছ ৷ মৎস্যচাষে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি নবান্নে ৷ ঝড় ও দুর্যোগে ২১ লক্ষ ২২ হাজার গবাদি পশু মারা গিয়েছে ৷ যে কারণে
advertisement
প্রাণিসম্পদে ৪৫২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে রাজ্য ৷
ঝড়ে বিদ্যুতে ৩ হাজার ২৩০ কোটির ক্ষতি হয়েছে বাংলায় ৷ ঝড়ে বনাঞ্চলে ভেঙে পড়েছে গাছ ৷ নষ্ট প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর বনভূমি ৷ এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৩৩ কোটি ৷ আমফানে শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষতি হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৷ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ২৭০ কোটি ৷ MSME-তে ক্ষতি হয়েছে ২৬ হাজার ৭৯০ কোটি ৷
এ দিন নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে প্রায় দেড়ঘণ্টা বৈঠক চলে কেন্দ্রীয় দলের ৷ সম্পূর্ণ রিপোর্টের সঙ্গে কোথায় কত ক্ষতি বিস্তারিত খতিয়ান পেশ করে রাজ্য ৷ উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে ১,০০০ কোটি টাকা সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমফানের দু’দিন পরে আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ঘুরে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে এই হাজার কোটি টাকার বিশেষ ফান্ডের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷