বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। তাদের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশনের সাহায্যে তাদের ট্রাঙ্কুলাইজ করার লোক চাই। বন দফতর জানাচ্ছে তাদের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতি রয়েছে। বাকি পরিকাঠামো রয়েছে। শুধু চাই কর্মী। বনমন্ত্রী জানাচ্ছেন, তাঁরা আবেদন করেছেন যাতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ফের কাজে লাগানো যায়।এছাড়া সঠিক সময়ে খবর পেতে আরও গজমিত্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
advertisement
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ”আমরা নিয়োগ করতে চাইছি৷ যারা বন দফতরের কাজে বিশেষজ্ঞ, তাঁদের আমরা নিয়োগ করতে চাই৷ তবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন মারফত। তাঁরা নিয়োগ করে দ্রুত জানালে আমাদের সুবিধে হবে৷’’ একই সঙ্গে মন্ত্রী এটাও মেনে নিয়েছেন যে ট্রাঙ্কুলাইজ করার জন্য বিশেষজ্ঞ দরকার৷ প্রয়োজনে যারা দীর্ঘ দিন কাজ করে গিয়েছেন সেই সুব পুরনো কর্মীদের যাতে নিয়োগ করতে পারা যায়, সেটিও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাজ্য বন দফতর সূত্রে খবর, গত ১০ বছরে বন দফতরে এমন বিশেষজ্ঞ ছিলেন ২৫ জন ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাহিদা ও পরিধি উভয় বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তবে সংখ্যাটা সেই ২৫ বা তার কম হয়ে গিয়েছে৷ নতুন করে নিয়োগের ঘটনা ঘটেনি৷ ট্রাঙ্কুলাইজ করার কাজে গোটা দেশে বিখ্যাত সুব্রত পাল চৌধুরী৷ যাঁকে এখনও ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগড়ের মতো রাজ্য ডেকে নিয়ে যায়৷
অভিজ্ঞ সুব্রত বাবু জানাচ্ছেন, যাঁরা এই কাজ করেন তাঁদের ধৈর্য কমে গিয়েছে৷ একাগ্রতার ভীষণ অভাব দেখা যাচ্ছে৷ একই সঙ্গে শুধু খাতায় কলমে নয়, বাস্তবে কীভাবে এই কাজ করতে হয়, তা নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা তৈরি হচ্ছে না৷ যদিও এই মুহূর্তে বন দফতরে রয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনকে এই বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সুব্রত বাবু । বড় ঘটনা ঘটলে তাঁদের ওপরেই ভরসা রাখতে হয় দফতরকে।