ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে আবহাওয়ার গতিবিধি সম্পর্কে আপডেটেড থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এমনিতে ভরা বর্ষায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই দিক মাথায় রেখে ভোট গ্রহণের দিন পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০১৩ সালের থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘এত রক্তপাত হলে ভোট বন্ধ করে দিন!’ ভাঙড় নিয়ে মামলার রায় দিতে গিয়ে ক্ষোভ বিচারপতির
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য ৮৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল রাজ্যে৷ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ৷ পা
শাপাশি, এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা৷ প্রধান বিচারপতি মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে না পারেন তাহলে তিনি যেন পদ ছেড়ে দেন৷ তাঁর জায়গায় নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল৷
প্রসঙ্গত, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের আবেদন৷ এর পর গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে ৷ জেলা পিছু এক কোম্পানি বা একশোরও কম জওয়ান চাওয়া হয়৷ যদিও এত কম বাহিনী দিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করে ফের এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷