শিয়রে পুরভোট। মাস দেড়েকের মধ্যেই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট হওয়ার কথা। তারপরেও একে একে ভোট রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ১৮ জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। কিন্তু তারপরেও পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না।
পুরভোট কবে? জানাতে পারল না কমিশন। ভোট EVM-এ হবে না ব্যালটে? তাও জানাতে পারল না কমিশন। পুরভোটে দিনক্ষণ জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। ১৮ জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরেই মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের।
advertisement
কিন্তু কেন পুরভোটের দিন ঘোষণা করতে পারছে না কমিশন? ভোট ইভিএমে হবে না ব্যালটে সেই সিদ্ধান্তটুকুও কেন নিতে পারছে না? আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে রাজ্যের পুর নির্বাচন আইনই হাত-পা বেঁধে দিয়েছে কমিশনের।
আইন অনুযায়ী রাজ্যের হাতে পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ক্ষমতা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী যদিও কমিশনের হাতেই পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে।
পুর আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে মামলাও করেন তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে।
কিন্তু তারপরেও মেটেনি সমস্যা। পুর নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের হাতেই থেকে গিয়েছে সব ক্ষমতা। সেই সীমাবদ্ধতার জন্যেই পুর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারছে না কমিশন। তবে পুর নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসনগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
কমিশনের নির্দেশিকা, জেলা প্রশাসনগুলিকে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিডিওগ্রাফির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ১৪০০-র বেশি ভোটার থাকলেই অতিরিক্ত বুথ তৈরি করতে হবে। যত বেশি সম্ভব মডেল বুথ তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। অভিযোগ জানানোর ওয়েবসাইট 'জেমস' আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, দোলের পর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ARUP DUTTA