কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তির পর স্বভাবতই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের সদিচ্ছা নিয়েও ফের একবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা৷
আরও পড়ুন: লঙ্কাও তিনশো টাকা কেজি! সবজি বাজারে আগুন, দাম শুনে আঁতকে উঠছেন ক্রেতার
গতকালই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে বাহিনীর কর্তা, রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হয়েছিল৷ তার পরেই এ দিন কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়৷ সেখানে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মূলত সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে৷ সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীকে এরিয়া ডমিনেশন, নাকা চেকিং, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃ রাজ্য সীমানা এলাকায় নজরদারি, রুট মার্চের জন্য ব্যবহার করা হবে৷
advertisement
বিশেষত, রাজনৈতিক হিংসা, আক্রমণ, হুমকির খবর পেলেও সেখানে ছুটে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ গোটা জেলায় ঘুরে ঘুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোবাইল ফোর্স হিসেবে কাজ করবে বলেও কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷ যদিও এই বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও লেখা নেই যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হবে কি না৷
ঘটনাচক্রে এখনও আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতেও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের কথাই বলা হয়েছে৷ যদিও কমিশন যদি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না করে তা হলে তা আদালতের নির্দেশের অবমাননা হবে বলেই দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা৷
এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও প্রশ্ন করা হয়, যা বাহিনী এসেছে তাতে সব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব কি না? জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেসব এলাকা স্পর্শকাতর আমরা সেখানেই জোর দিতে বলেছি৷’