জেলা কমিটি নির্বাচন থেকে মণ্ডল সভাপতি বাছাই। বারবারই নেতৃত্ব নির্বাচন ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দলে বিদ্ধ হয়েছে বাংলার পদ্ম শিবির। ক্ষোভের সুর চড়েছে দলেরই অন্দরে। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ফুল বদলেছেন তৃণমূলস্তরের একাধিক নেতা। বারবারই সেই নালিশ পৌঁছেছে দিল্লি দরবারে। বিজেপির দলীয় সূত্রের খবর, এবার এই ধরনের ঘটনা কমাতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
advertisement
এতদিন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির একক সিদ্ধান্তেই সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। কিন্তু, সূত্রের খবর, এবার থেকে বদলে যাচ্ছে সিস্টেম। আর কোনও একক সিদ্ধান্ত নয়। এবার থেকে দিল্লির সবুজ সংকেত মিললে তবেই সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করতে পারবে বঙ্গ বিজেপি।
আরও পড়ুন: জি২০ বৈঠকের প্রস্তুতি পর্ব, সবার সাহায্য চাইলেন মোদি, ‘সাহায্য করব’, বললেন মমতা
তাহলে কি, খর্ব করা হচ্ছে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতা ? এই প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আমাদের সংগঠনে রাজ্য-কেন্দ্র আলোচনা করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অনেক খবরই রটছে, তা ঠিক নয়।"
কিন্তু, ঘটনা হল, যা রটে, তার কিছুটা তো বটে, এই প্রবাদ মেনে বিজেপির অন্দরে কান পাততে গেলেই শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। সূত্রের দাবি, জেলা কমিটি হোক কিংবা রাজ্য কমিটি, এমনকি, মণ্ডল কমিটির ক্ষেত্রেও নেতৃত্বে যে কোনও রকমের রদবদলের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে সবকিছু। কেন এই রদবদল দরকার, কাকে সরিয়ে কাকে নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে, সব কিছু খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সবুজ সংকেত দিলে, তবেই সেই পদে পরিবর্তন আনতে পারবে বঙ্গ বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘আমি আগেই বলেছিলাম ৩০ হাজার বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে’: শুভেন্দু অধিকারী
অনেকের মতে, এমনটা যে হতে চলেছে গত অক্টোবরেই তার ইঙ্গিত মিলেছিল। গত ১৭ অক্টোবর রাজ্য বিজেপির কুড়ি জনের কোর কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ঘোষণা রাজ্য বিজেপির তরফে করা হয়নি। ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রাজ্যের পদ্ম শিবিরের কোর কমিটির ঘোষণা করছে দিল্লি, এমন নজির সাম্প্রতিক অতীতে নেই। তাই রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এবার সেই পথে হেঁটেই সমস্ত কমিটি গঠনের অধিকারই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে রাজ্য বিজেপির হাত থেকে।