বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিংয়ের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাতেও ধাপে ধাপে যাব। যে সব দাবিদাওয়ার কথা উঠে আসছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’
আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের সার্বিক উন্নতির জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় এবার বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন চার মন্ত্রীকে। নভেম্বর মাসে নবান্নে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন এই কমিটিতে রেখেছিলেন সন্ধ্যারানি টুডু, জ্যোৎস্না মান্ডি, বীরবাহা হাঁসদা ও বুলুচিক বরাইককে। অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ উভয়ের প্রতিনিধিরাই আছেন এই কমিটিতে। মূলত আদিবাসীদের উপর কোনও বঞ্চনা হয়ে থাকলে এই কমিটি তা নিরসনের ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে। মমতা বন্দোপাধ্যায় বারবার জানিয়েছেন, আদিবাসীদের জমি কেউ নিতে পারবে না। মানুষের উন্নয়নের জন্য কোনও রং দেখা হবে না। সকলের জন্য কাজ হবে। ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ের তুলনায় বাংলার আদিবাসীরা অনেক ভাল আছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি যাতে কেউ জোর করে কেড়ে নিতে না পারে সেকারণে তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ট্রাইবাল ল্যান্ড তাঁদের বাইরে কেউ নিতে পারবে না।
advertisement
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। আদিবাসীরা একাধিক জেলায় বড় ফ্যাক্টর। লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে ধাক্কা খেলেও জঙ্গলমহলে ফের নতুন করে ভাল ফল করতে শুরু করেছে তৃণমূল। সেই উত্তরবঙ্গের চা মহল্লার আদিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়েই কাজ শুরু করল এই চারজনের বিশেষ দল। খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি জানিয়েছেন, ‘এই আলোচনা সভা পর্যালোচনা করলে এ কথা খুবই সুস্পষ্ট যে প্রান্তিক মানুষেরাও বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি তাদের সরকারি বঞ্চনার ব্যাপারে নিখুঁতভাবে অবগত। সমস্ত ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত জনকল্যাণমূলক সুবিধা ও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল সকলে খুশি।