সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ‘সাত ঘণ্টা ধৈর্য ধরেছিল পুলিশ, কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরেননি’, বিকাশ ভবনের ঘটনা প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, বলেন, “যাঁরা আটকে ছিলেন তাদের সুষ্ঠু ভাবে বার করে আনা হয়েছে। কেউ জখম হননি সরকারি কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: প্লেনে কোন ‘শব্দ’ বললে আপনি ‘জেলে’ যেতে পারেন জানেন…? ‘উত্তর’ শুনলেই চমকাবেন!
advertisement
একইসঙ্গে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা দশদিন ধরে রোটেশন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করছেন। পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। গতকাল তাঁরা ব্যারিকেড ভাঙে। জোর করে গেট ভেঙে বিকাশ ভবন চত্বরে ঢুকে পড়েন। পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। পুলিশ সচেতন ভাবে কিছু করেনি। পুলিশ ধৈর্য দেখিয়েছে। পুলিশ বল প্রয়োগ করেনি। তারা চাকরি হারিয়েছে তাই বারবারই পুলিশ তাঁদের বুঝিয়েছে। আন্দোলনকারীদের পুলিশ বলেছিল এখানে সরকারি কর্মচারীরা বাড়িতে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। যার ফলে ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বহু সরকারি কর্মী। অনেকের বাড়িতে অসুস্থ মা, বাচ্চা রয়েছে, তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। এক তরুণী বাধ্য হয়ে ঝাঁপ দেন। তাঁর পা ভেঙেছে।”
আরও পড়ুন: শাশুড়ি ঘুমিয়ে অচৈতন্য…! ঠিক তখনই তাঁর ঘরে ঢুকে এমন কাণ্ড করে বসল বৌমা, কেঁপে উঠবেন শুনলেই
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন “আমরা অনুরোধ করি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করুন। যাঁরা আটকে আছেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হোক। মাইকিং করা হয় সেই মর্মে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং যখন আটকে পড়া সরকারি কর্মীদের বার করার কাজ শুরু হয় তখন আক্রমণ আসে। ক্যামেরায় সবটাই ধরা আছে। সাত ঘণ্টা ধরে পুলিশের অনুরোধ মানা হয়নি। সাত ঘণ্টা পরে এই ধরনের আন্দোলন গণতান্ত্রিক থাকতে পারে না।যখন বার করার কাজ শুরু হল তখন বোতল ইট ছুঁড়ে দিল। তারপরই পুলিশের তরফে বল প্রয়োগ করা হয়েছে। আইন এবং অধিকার সকলের জন্য। তাই আইন ও অধিকার সকলের মানা উচিত।”
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, “প্রথম বেআইনি কাজ আন্দোলনকারীদের তরফে শুরু হয়েছিল। আমাদের কোনও লক্ষ্য ছিল না টিয়ার গ্যাস চালানো। আমাদের লক্ষ্য ছিল সংযত থেকে তাদের বুঝিয়ে আটকে থাকা সরকারি কর্মচারীদের বার করে আনা। আমাদের কাছে ফোন আসছিল। সন্তানসম্ভবা মহিলা ছিলেন তাদের মধ্যে, প্যনিক অ্যাটাক হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তাদের বার করে আনা লক্ষ্য ছিল। পুলিশ প্রোঅ্যাকটিভ হয়েছে রাত আটটার পর। অফিস ছুটির দুঘণ্টা পর। আমাদের আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার লক্ষ্য নেই। আজও করছে। আইন মেনে করুক।”