এজি কিশোর দত্তের আদালতে সওয়াল, ‘‘একক বেঞ্চের শুনানির ক্ষেত্রে অনেক তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। শুনানির শেষের পরের দিনই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ বার শুনানি হয়েছিল। বোর্ডকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি। বিচারপতিকেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।’’
advertisement
এজি কিশোর দত্ত সওয়ালে বলেন, ‘‘এভিডেন্স অ্যাক্টের সেকশন ১৬৫ মানা হয়নি। গোটা রায় ধারণার ভিত্তিতে। নিয়ম এড়িয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে৷ দুর্নীতির অভিযোগে কনসিকোয়েন্স গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি প্রমান করা যায়নি। ১৬৫ ধারা,এভিডেন্স অ্যাক্ট, ট্রায়ালের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আনার জন্য আদালত এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে। তিনি প্রসিকিউটরের মতো কাজ করেছিলেন। ৬. ২. ২০২৩ অর্ডারে দেখুন, আদালত সাক্ষীদের নির্বাচন করেছে। আদালত নিরপরাধদের রক্ষা করে। বিচারপতি প্রশিকিউটরের কাজ করেনা। উনি বিচারপতির ভূমিকা বদল করেছেন।
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী মন্তব্য- ‘‘আপনিও তো পার্টি ছিলেন প্রশ্ন তোলেননি কেন? ক্রস করেননি কেন?’’ এজি আরও বলেন, ‘‘অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। ইন্টারভিউয়ারদের টেলিফোন মারফত ডাকা হয়েছিল বলে একক বেঞ্চের রায়ে জানানো হয়েছে। সত্যতা নেই’’
বিচারপতি চক্রবর্তী – এনগেজমেন্ট লেটার পাঠানো হয়নি এটা কেন বলা হয়েছে একক বেঞ্চের রায়ে? অ্যাপটিউড ও ইন্টারভিউ কী এক দিনে হয়েছিল? একই জায়গায়? একই ইন্টারভিউয়ার?
এজি উত্তর দেন, ‘‘জেলাভিত্তিক হয়েছিল। তিন সদস্যের কমিটি ছিল।’’
বিচারপতি চক্রবর্তী জানতে চান, ‘‘ওএমআর শিট মূল্যায়নের জন্য বাইরের এজেনসি কেন নিযুক্ত করেছিলেন? এক্তিয়ার রয়েছে? নিয়ম রয়েছে নিযুক্ত করার? কোনও এজেন্সিকে নিযুক্ত করেছিলেন? সিলেকশন কমিটি ডাকবে তাহলে অ্যাপটিটিউড ও ইন্টারভিউয়ের জন্য মাঝখানে কমিটি গঠন কেন? শেষে তাহলে নিয়োগের পদ্ধতি কী? ইন্টারভিউ বোর্ড গঠনের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই।’’
তখন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘সিলেকশন কমিটি উত্তীর্ণ যারা তাঁদের ডাকবে। ইন্টারভিউ বোর্ডের এখানে আসার কোনও নিয়ম নেই।’’
এজি জানান, ‘‘প্রয়োজনে যে নও সাব কমিটি গড়ে তোলার নিয়ম রয়েছে।’’
বিচারপতি চক্রবর্তী জানতে চান, কিছু রুল সংশোধন করে সাব কমিটি ঢোকানো হয়েছে। এটা তো তাহলে আরও বিভ্রান্তমূলক ? আপনাদের এটার ক্ষমতা বা এক্তিয়ার রয়েছে?
এজি জানান, সিলেকশন কমিটির মেয়াদ ২ বছর থাকে তারপর পুর্নগঠন করা হয়। কেউ যদি এর মধ্যে ইস্তফা দেয় তাহলে নিয়ম রয়েছে।
বিচারপতি পাল্টা জানিয়ে দেন, ‘‘এটা উত্তর নয়। প্যানেল প্রকাশিত হয়েছে?’’
এজি বলেন, ‘‘জেলাভিত্তিক হয়েছে। তারপর একাধিক মামলা হয়েছে।’’
সিলেকশন কমিটি, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট, বহিরাগত এজেন্সি ব্যবহার নিয়োগে এবং প্যানেল, এই চার বিষয়ে রাজ্যের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানাতে চায় বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ জুন ফের মামলার শুনানি হবে।