এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে গ্রুপ সি তে চাকরি পাওয়া সব ব্যক্তির নিয়োগপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পাঠাতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। ২৭ মার্চের মধ্যে তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। ২৯ মার্চ হবে পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: ১১ দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত, মেয়ে সুকন্যা-সহ ১২ জনকে তলব করার তোড়জোড় শুরু
advertisement
সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছিল ৫৭ জন গ্ৰুপ-সি কর্মীর বিরুদ্ধে। এদিন এই মামলার শুনানিতে দুপুর ১টা ২ মিনিটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন— এরপরের ঠিক ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের নামের তালিকা এসএসসিকে প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ, বিকেল ৩টে ২ মিনিট পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। কিন্তু, তার ঢের আগেই ঠিক ৮৯ মিনিটের মাথায় ওই ৫৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি।
ওই ৫৭ জনের চাকরি তো বাতিল হলই, পাশাপাশি, আরও ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র এদিন বাতিল করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। বললেন, "কমিশনের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের কারণেই এই দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির কারণে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরাও তাঁদের দায় এড়াতে পারেন না। এই দুর্নীতির জন্যই আজকে যোগ্য প্রার্থীরা যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় বসে আছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদের চাকরি চুরি করা হয়েছে। কমিশনের কর্তারা এবং শিক্ষা দফতরের কিছু কর্তার দুর্নীতির জন্যই চাকরি প্রার্থীদের এই দুরবস্থা। এই কর্তারা নিয়োগ দুর্নীতির ফল খেয়েছেন।"
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেয় এসএসসি। তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সুপারিশপত্র না দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় না! এই ৫৭ জনের ক্ষেত্রে এসএসসি অফিস থেকে কোনও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত বছর সন্দীপ প্রসাদের দায়ের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।