বৃহস্পতিবার DIG CID ও তাঁর টিমকে হাইকোর্টের এজলাসে সশরীরে তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সকাল সাড়ে দশটায় তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরীক্ষা না দিয়েই নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে চাকরির অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ স্কুলের এই ঘটনা আদালতে পৌঁছতে CID তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলায় মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, ‘ভুয়ো নথি দিয়ে এসএসসি চাকরি করছে। এখনও ভুয়ো নথিতে চাকরি করে বেতন নিচ্ছে বিভিন্ন জেলায় একাধিক শিক্ষক, ভাবা যায়! রাজ্যজুড়ে CID নেটওয়ার্ক, তবু তাঁরা এগুলো নিয়ে কিছুই করতে পারছে না! এক জেলার সুপারিশ পত্র, অন্য জেলার নিয়োগপত্র ভাঁড়িয়ে চাকরি করে যাচ্ছে ভুয়ো শিক্ষকেরা। আর সিআইডি কিছুই করতে পারছে না?’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি’, স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক বিতর্ক মেটালেন মুখ্যমন্ত্রী
বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘একাধিক মাথা এমন ভুয়ো নিয়োগের নেপথ্যে। সিন্ডিকেট চক্র কাজ করছে। প্রত্যেককে খুঁজে বার করতে হবে।’ এসএসসি ভুয়ো চাকরি মামলাটির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন বিচারপতি। শেষ সুযোগ হিসেবে ডিআইজি সিআইডি কৈফিয়ত লিখিত বা মৌখিক আকারে এদিন জানতে চেয়েছে আদালত।
ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় SSC। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের প্রকৃত নথি পাওয়া যায়নি। তদন্তে উঠে আসে ৭ জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা কমাতে মন ভাল রাখার ‘ক্লাস’! চালকদের স্ত্রী-সন্তানকে অনেক কিছু শেখাবে ভারতীয় রেল
২৪ জেলার ডিআই-দের হলফনামা পেশ করা হয়েছে। সেই হলফনামা খতিয়ে দেখে ৩৬টি বিতর্কিত নিয়োগের তথ্য আদালতকে দেয় SSC। বুধবার এজলাসে সিআইডির কাজের অগ্রগতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রশ্ন, ‘এটা কোনও ফৌজদারি আদালত নয় গ্রেফতার বলে সন্তুষ্ট করবেন। এতবড় নিয়োগ দুর্নীতি সেখানে এমন ঢিলেঢালা তদন্ত কেন হবে?’
অর্ণব হাজরা