কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম রয়েছে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের। পুরো নম্বর পেয়েও নতুন পরীক্ষার্থীদের অনেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। অথচ কেউ কেউ আবার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দেখিয়ে অতিরিক্ত ১০ নম্বর পেয়ে গিয়েছেন! এমনই নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ উঠল স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করলেন শিক্ষকদের একাংশ। আগামী বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিংহর বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
advertisement
অভিজ্ঞতার দশ নম্বর পাওয়া চাকরি প্রার্থীদের কারও কারও বয়স ১৯৯৭ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী। যা বয়সের নিরিখে সমর্থনযোগ্য নয়। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাত্য বসু বলেন, ”এক্ষেত্রে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমানে যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা প্রার্থীদের দেওয়া অনলাইন তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং ৬০ নম্বর লিখিত পরীক্ষার মার্কস যোগ করে। এই তালিকার উপর তথ্য যাচাইকরণ করা হবে এবং তারপরে ফাইনাল ইন্টারভিউ লিস্ট, যা রিজিয়ন ভিত্তিক হবে, তা প্রকাশিত হবে। তাই সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন করার সময় অযোগ্য কোনও প্রার্থী থাকলে, তারা বাদ পড়ে যাবে।
এদিকে, নীতীশরঞ্জন বর্মন এসএসসি-র অযোগ্য শিক্ষকদের লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছন। এর উত্তরে শিক্ষামন্ত্রীর জবাব, স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, যে এই বছর ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশনামা দিয়েছে, সেখানে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিবেচ্য যে কোন প্রার্থী যদি এত সতর্কতা স্বত্বেও অযোগ্য হয়ে সুযোগ পেয়ে যান, তাহলে ভেরিফিকেশন করার সময় অবশ্যই তাকে বাদ দেওয়া হবে। সেই ক্ষমতা সব সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে আছে।
