জয়পালের দেহ বুধবার রাতে আবাসন থেকে বের করার পর ওই ঘর থেকে একাধিক মোবাইল ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে একটি পাকিস্তানি পিস্তল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি কাপড়ের ব্যাগের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই ব্যাগ তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে। এখানেই প্রশ্ন কুখ্যাত গ্যাংস্টার জয়পালের কাছে পাকিস্তানের রিভলবার আসল কী করে?
একটা বিষয় গোয়েন্দাদের কাছে পরিষ্কার। নিজে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও তার সঙ্গীসাথীরা গোটা দেশজুড়ে অস্ত্রোপাচারের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। পঞ্চকুলা, মৌখালির ব্যাঙ্ক ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড জয়পাল নেটওয়ার্কের পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর রাখত আড়াল থেকেই। গোয়েন্দাদের সন্দেহ সে ধীরে ধীরে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছিল পাকিস্তানেও।
advertisement
জয়পালের পাকিস্তান যোগের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপির পোস্টে। বুধবারই পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি ট্যুইটারে লিখেছেন জয়পাল আন্তর্জাতিক পাচারে যুক্ত ছিল। আর অমৃতসর এলাকা যেহেতু পাচারকারীদের স্বর্গ, বলাই বাহুল্য জয়পাল সীমান্তের ওপারে চোরাচালানে সিদ্ধ হয়ে উঠেছিল। ড্রাগ হোক বা অস্ত্র, দেওয়ানেওয়া চলতই। জয়পাল কি নিজে পাকিস্তান গিয়েছিল? তার কি জঙ্গী যোগও ছিল, এ বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজছে পুলিশ।
এবছর মে মাসের অধিকাংশ সময়ই জয়পাল ছিল লুধিয়ানা তে সেখানে দুই পুলিশ অফিসারকে দিনের আলোয় খুন করে তার গ জ্ঞান। জয়পাল এর ঘনিষ্ঠ সংগীত কে গ্রেফতার করে পুলিশ জয়পাল কোথায় আছে তা জানতে পারে এরপর এই শাপূর্জি অ্যাপার্টমেন্টে হানা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় বেঙ্গল পুলিস।