পুরসভা সূত্রে খবর,প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রায় হাজারের বেশি দর্শনার্থী আরতি দেখতে আসেন গঙ্গাঘাটে। প্রতি শনিবার দর্শনার্থীদের আরতি দর্শনের পাশাপাশি দেওয়া হবে ভোগ। কী থাকছে এই ভোগের আয়োজনে? প্রায় ১০০ কেজি চাল, ৫০ কেজি ডাল, ৩-৫ কেজি ঘি, কাজু, কিসমিস ও বিভিন্ন সবজি ,মশলায় তৈরি হবে খিচুড়ি ভোগ। সেটা শালপাতার বাটি করে বিতরণ করা হবে দর্শনার্থীদের মধ্যে। আপাতত শনিবার সন্ধ্যায় প্রসাদ প্রাপ্তি হলেও অদূর ভবিষ্যতে দিন বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। শনিবার আরতির সঙ্গেই এই ভোগ অর্পণ করা হবে গঙ্গাদেবীর মন্দিরে। তার পর আরতি শেষে হবে ভোগপ্রসাদ বিতরণ। কলকাতা পুরসভা ভোগের আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে।
advertisement
কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকায় নতুন সংযোজন গঙ্গা ঘাটের আরতি। এই বাজে কদমতলা ঘাটকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। রোজ সন্ধ্যায় গঙ্গাপুজোর সঙ্গে গঙ্গা আরতির দর্শনও হয়।
বারাণসী গঙ্গার ঘাটে আরতি দেখে মুগ্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার ঘাটে এমন আরতি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দায়িত্ব এসে পড়ে কলকাতা পুরসভার কাঁধে। কলকাতা পুরসভা কয়েক মাসের মধ্যেই পরিকাঠামো তৈরি করে আরতির। মন্দির তৈরি করা হয় গঙ্গা মায়ের। স্থাপিত হয় গঙ্গা মায়ের মূর্তি রাখা হয়। তৈরি হয় আরতির জন্য পোর্টেবল টেবিল।
গঙ্গা পুজো-সহ এই উদ্যোগের সামগ্রিক দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। শনিবারের ভোগের খরচ বহন করবে আরতির দায়িত্বে থাকা সংস্থা। দর্শনার্থীদের কাছে এই ভোগ দেওয়া কারণে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।