ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই এরাজ্যে সাত দফায় ভোট নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন ৷ সেই বিষয়েই বিবেক দুবে বলেন,‘অন্ধ্র, তেলঙ্গনায় এক দফায় ভোট ৷ পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় ভোট ৷ পশ্চিমবঙ্গ সমস্যাসঙ্কুল, মনে করেছে কমিশন ৷’
বিরোধীদের দাবি মেনে রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণার সম্ভাবনা কার্যত নেই। সোমবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল কমিশন। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও ভোট করানো সম্ভব নয় বলেও কার্যত মেনে নিচ্ছে কমিশন।
advertisement
তবে রাজ্যে ভোট করানো যে বড় চ্যালেঞ্জ, তা বুঝেই প্রস্তুতি চলছে বলে আশ্বাস কমিশনের। বিরোধী দলগুলির কাছে কমিশনের বার্তা, পশ্চিমবঙ্গ সমস্যাসঙ্কুল রাজ্য। তাই এত দফায় ভোটের সিদ্ধান্ত। সব বুথ স্পর্শকাতর এটা কোথাও হয় না। আধাসেনার সঙ্গে পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীও থাকবে।
সোমবার রাজ্যের সবকটি বিরোধী দলের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। বিজেপির পালা আসতেই তৈরি হয় নজিরবিহীন পরিস্থিতি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সামনে বৈঠক করতে অস্বীকার করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পুলিশ পর্যবেক্ষককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছি। এই সিইও পক্ষপাতদুষ্ট। ওর সামনে আলোচনা চাই না ৷’
এরপরই বৈঠক ছেড়ে চলে যান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিফ আফতাব। ঘটনায় বিরক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক জানিয়ে দেন, প্রমাণ থাকলেই তবেই অভিযোগ করা উচিত। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া উচিত।
একদিকে বিরোধীদের অভিযোগ। অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের অবস্থান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সুষ্ঠুভাব ভোট করাতে আপাতত ভারসাম্য রেখেই এগোতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।