মহাকরণ মেট্রো স্টেশনের ঢোকা আর বেরোনোর জন্য দুটি গেট তৈরি করা হচ্ছে স্টিফেন হাউসের সামনে ফুটপাতের ওপর। গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানেই ক্রমাগত গ্রাউটিং করার কাজ চলছে । জল, সিমেন্ট আর হাডোনেট নামে এক ধরনের রাসায়নিকের সংমিশ্রণ তৈরি করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাটির নীচে। মাটি থেকে প্রায় ৩ মিটার নীচে পাঠানো হচ্ছে এই সংমিশ্রণ। কিন্তু কেন এই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে? KMRCL সূত্রে খবর, এখানেও মাটির নীচে রয়েছে জলস্তর বা আকুইফার। ফলে স্টেশন তৈরির কাজের সময় যখন মেশিনের কম্পন হচ্ছে তাতে ক্ষতি হতে পারে এই পুরনো বাড়িগুলোর। কারণ এই সমস্ত এলাকায় যে সমস্ত বাড়িগুলি রয়েছে তার গাঁথনি আলগা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে বেশিরভাগ বাড়ি বহু পুরনো হওয়ায় রয়েছে ইটের গাঁথনি। ফলে বাড়ির নীচে মাটি আলগা হয়ে সরে গেলেই কাঠামো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল বউবাজারের ক্ষেত্রে। তাই এই সচেতন হয়েই চলছে মেট্রোর স্টেশন তৈরির কাজ মাটির নীচে।
advertisement
ডালহৌসিতে দেখা গেল বিভিন্ন বাড়িতে ছোট ছোট গর্ত খুঁড়ে তার মধ্যে পাঠানো হচ্ছে রাসায়নিক সংমিশ্রণ। এছাড়া বিভিন্ন বাড়িতে বসানো হয়েছে টিল্ট মিটার। যার মাধ্যমে বোঝা যাবে বাড়ি ডান কিংবা বাঁদিকে হেলে যাচ্ছে কিনা। বসানো হয়েছে সেটলমেন্ট মিটার, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে বাড়ি মাটিতে বসে যাচ্ছে কিনা। এছাড়া বিভিন্ন দেওয়ালে বসানো হয়েছে ক্র্যাক মিটার। যার মাধ্যমে দেওয়ালে কতটা ক্র্যাক হয়েছে তা বোঝা যাবে। কে এম আর সি এল সূত্রে খবর, ৮০ সেন্টিমিটার পুরু, ২.৫ মিটার প্রশস্ত ও ১৭ মিটার লম্বা একটি কংক্রিটের দেওয়াল মাটির নীচে তৈরি করা হচ্ছে। এভাবেই যাতে বউবাজারের সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে না আসে, তার জন্য ধীরে ধীরে পা ফেলে এগোচ্ছে মেট্রো।
ABIR GHOSHAL
