প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা এই প্রথম কোন প্রকল্পের প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহারের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের দুয়ারে যাতে এই খবর পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্যই এই কৌশল। এর জন্য রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
(১) বিভিন্ন কর্মস্থলে ইনফরমেশন বোর্ড তৈরি করে লাগাতে হবে। অর্থাৎ গ্রামীণ রাস্তা যে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জেলায় জেলায় তা জানিয়ে বিভিন্ন কর্মস্থলে তথ্যভিত্তিক এই বোর্ডগুলি লাগাতে হবে।
advertisement
(২) জেলাশাসকের অফিস, মহকুমাশাসক, ব্লক স্তরে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের হেডকোয়ার্টার গুলিতে বিভিন্ন ধরনের হোর্ডিং লাগাতে হবে।যে রাস্তা গুলি নির্মাণ হচ্ছে তার তথ্য নিয়ে এই হোর্ডিং গুলি লাগাতে হবে।
(৩)গ্রামীণ রাস্তায় নির্মাণ ও সংস্কারের কাজের তথ্য জানিয়ে গোটা জেলা জুড়ে মাইকিং করতে হবে।
(৪) গোটা জেলাজুড়ে লিফলেট বিলি করতে হবে। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কাজের কথা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের কালারফুল ট্যাবলো দিয়ে বিভিন্ন রুট ধরে প্রচার করতে হবে।
(৫) জেলাশাসক এসডিও বিডিও গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস গুলিতে কোন কোন রাস্তা তৈরি হচ্ছে এবং সংস্কার হচ্ছে তার তালিকা দিয়ে দিতে হবে যাতে যে কোনও সাধারণ মানুষ তা দেখতে পান।
(৬) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিকে ব্যবহার করে এর প্রচার করতে হবে।
(৭) বিভিন্ন কেবিল বা লোকাল টিভি চ্যানেলগুলির মাধ্যমেও এর প্রচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জল গড়াল টলিউডেও! অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে তলব ED-র
আরও পড়ুন: কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত, কিন্তু কেন, জানালেন বাবা
এর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে বিভিন্ন জেলাগুলিকে লোগো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে গ্রামীণ রাস্তার নির্মাণ ও সংস্কারকে প্রচারের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে চাইছে নবান্ন। মুখ্য সচিব ও একাধিকবার এই গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার কার্য নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। ৩০ মার্চের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়