দলের নির্দেশেই ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আবার স্ব-ইচ্ছায় সেই কেন্দ্র থেকেই ইস্তফা দেন তিনি। দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জন্যে ছেড়ে দেন বিধানসভা আসন। দল তাকে অবশ্য ফের নির্বাচনে প্রার্থী করবে। খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি ভোটে লড়াই করবেন। তবে সেই কেন্দ্রে ভোটের দিন অবশ্য এখনও ঘোষিত হয়নি৷ তবে তিনি আশাবাদী শীঘ্রই সেখানেও ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে।
advertisement
চলতি বছরে ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে ২'মে। ২১মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে নিয়মানুযায়ী তিনি এখনও রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী৷ কিন্তু যথাসময়ে ভোট না হলে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। তার ফলে এক প্রকার অনিশ্চিত তার ভবিষ্যৎ। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য রবিবার সকাল থেকেই ব্যস্ত মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হয়ে ভোটের প্রচারে। সকাল থেকে দলের কর্মীদের সাথে একাধিকবার আলোচনা সেরে নিচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে বিধানসভা এলাকার পুজো কমিটিগুলির কাছেও। নিজে ভোটের প্রচারে সেই সময় যতটা লড়েছিলেন, আজও সেই এনার্জি নিয়েই রাস্তায় নামতে প্রস্তুত তিনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, "উপনির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রেকর্ড মার্জিনে জেতানোটাই আমার লক্ষ্য৷ এখন আগামী কয়েকদিন দিন-রাত এক করে মানুষের কাছে পৌছতে হবে। সেই কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। মমতা ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। সকলে ওকে চেনে। কিন্তু আমরা দলের সৈনিক তাই কোভিড প্রটোকল মেনেই চলবে ভোটের প্রচার।"
খড়দহতে ভোট এখনই ঘোষণা না হওয়ায় কিছুটা হলেও মন খারাপ শোভনদেববাবুর। তিনি বলছেন, "করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ভোটটা এখন করিয়ে নিলেই পারত।" তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বলছে, আমরা সমস্ত কেন্দ্রেই একসাথে ভোটের দাবি কমিশনকে জানিয়েছিলাম। এই ভাবে ধাপে ধাপে ভোট না করে, একেবারে ভোট করে নিলে সুবিধা হত। মানুষ তাদের সুবিধাও পেত। আপাতত অপেক্ষা কবে হয় খড়দহ বিধানসভার ভোট। ফের বিধায়ক হিসাবেই পরিচিত হতে চান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।