প্রতি বছরের মত এই বছর চেনা মুখ ভিড় করলেও তাদের আবেদন ছিল অন্যরকম। তাতের অনেকের দাবী এই বছর দলের নেতা নন, নেত্রীর সঙ্গে কাটাবেন দুপুরটা। কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নিস্ক্রিয় কাউন্সিলরের পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হবে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। সেই মতো রত্নাদেবীও পেয়েছে দায়িত্ব৷ তার চেনা ওর্ডার হলেও এবার একেবারে অন্য ছন্দে রাজনীতির ময়দানে শোভনজায়া। পুরভোট প্রচার অন্যদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে থাকতে চান না রত্না। তার বক্তব্য বিগত তিন বছর তার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল রং, তবে এবার তার নতুন যাত্রা শুরু।
advertisement
পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস তাকে টিকিট দিলে তিনি রাজি প্রার্থী হতে। তাহলে কি বিজেপি নেতা শোভনের বিপরীতে দাঁড়াবেন তিনি? রত্নার জবাব বিজেপির টিকিটে শোভনবাবু প্রার্থী হলে তার পক্ষে জয় সহজ হবে৷ সকাল থেকে যারা এলেন অনেকেই জানালেন কাউন্সিলর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে সমস্যা হত, তবে রত্নাদির সেই পদে থাকলে তার কাছে যাওয়া সহজ হবে। সব কিছুর মধ্যে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের শেষ কথা, অতীতটা ভুলে তিনি এখন রঙে মন দিয়েছেন, যা রাজনীতির রং৷ আগামীদিনে শোভন বনাম রত্না যে জোর টক্কর হবে তা দোলের দিনেই স্পষ্ট।
Susovan Bhattacharya