রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রত্না চট্টোপাধ্যায় যাচ্ছেতাই মন্তব্য করছেন বলে কলকাতা হাইকোর্টে নালিশ করলেন তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, ”গত শুক্রবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছি। তারপর থেকে তিনি প্রেস কনফারেন্স করে আমার নামে যা তা বলছেন, অসম্মানজনক মন্তব্য করা হচ্ছে।” এরপর বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, ‘কিন্তু এর জন্য কোর্ট কী করতে পারে?’ কল্যাণ বলেন, ‘আমি একজন সিনিয়র আইনজীবী। সিনিয়র কোর্ট অফিসার। আমাকে সুরক্ষা দেওয়া উচিত আদালতের। আলিপুর আদালতেও ঠিক এই জিনিস করা হয়েছে। আমার মেয়ের নামে যাচ্ছেতাই বলা হয়েছে।”
বিচারপতি ভট্টাচার্য তা শুনে বলেন, ”ঠিক আছে আবেদন করুন। আদালত শুনবে।” রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে একজন জুনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন সোমবার। তার দাবি, কোনও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য নেই।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি দ্বিচারিতা করছি বলেছেন। কী ধরনের আচরণ এগুলো! কেউ ওঁর (রত্না) বিরুদ্ধে সওয়াল করতে পারবেন না? কেউ সাক্ষী দিতে পারবেন না? ৪৩ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছি। আমি অনেক থ্রেট সহ্য করেছি। কিন্তু এই রকম অসম্মানজনক কথা শুনিনি। আমার মেয়ের ফোনে অচেনা নম্বর থেকে অশালীন ভাষায় মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। কী হচ্ছে এসব? আমি আমার প্র্যাকটিসের জায়গায় সারা জীবন পরিস্কার।”
বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, ”রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে বলছি, আপনি বিষয়টা দেখুন। আপনার মক্কেলের সঙ্গে কথা বলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যাযের সঙ্গে কথা বলুন। আপাতত কল্যাণবাবু ২ দিনের জন্য আবেদন দায়ের করা থেকে বিরত থাকুন।”