বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের নির্দেশ, অতি দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে নিম্ন আদালতকে। সাক্ষী পর্বের পর ট্রায়াল হওয়ার কথা নিম্ন আদালতে। অনেক সাক্ষী এখনও দিতে চায় রত্না, সেই সুযোগ দেয়নি নিম্ন আদালত। তাই হাইকোর্টে বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে রত্না। কিন্তু রত্নার আবেদন খারিজ হয়ে গেল।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করার জন্য কল্যাণের কাছে মেসেজে ক্ষমাও চেয়ে নেন রত্না। তবে রত্না মেসেজে যে ভাষায় ক্ষমা চেয়েছেন, তাতে সন্তষ্ট নন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে দাবি আইনজীবীর। মেসেজ সংশোধনের জন্য সময় দিলেন বিচারপতি।
advertisement
রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী রঞ্জন বাচোয়াত বলেন, পরবর্তীতে যাতে এই ধরনের মন্তব্য না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন তিনি। বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য পাল্টা জানিয়ে দেন, কোর্টের ভিতরে দু পক্ষের আইনজীবীরা সওয়াল জবাবের সময় অনেক কথাই বলেন। কিন্তু সেটা নিয়ে আদালতের বাইরে জলঘোলা করা কাম্য নয়। আমি আশা করি এই সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারবে দু পক্ষ। এতে আর আদালতের আলাদা করে মামলা শুনতে হবে না। এরপর ফের শুনানি শুরু হলে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি।