২০১৭ সালে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ আট বছর মামলা চলার পর এ দিন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আলিপুর নগর ও দায়রা আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী৷ একই সঙ্গে অবশ্য রত্না চট্টোপাধ্যায় শোভনের সঙ্গে থাকতে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি৷
advertisement
আদালতের এই নির্দেশকে নিজের জয় হিসেবেই দেখছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ এ দিন আদালতের রায়ের পর শোভনকে আবারও বাড়ি ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়৷ যদিও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়েই শোভন বলেন, ‘বৈশাখীর সঙ্গেই আছি, থাকব৷ দীর্ঘ আট বছর ধরে যে লড়াই করেছি, যে সত্যের উপরে দাঁড়িয়ে লড়েছি, যে কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছি- তা এখনও বিশ্বাস করি৷ সামাজিক বিচ্ছেদ হয়েই গিয়েছে, আইনি ভাবেও সম্পর্কে সুতোয় যেটুকু ঝুলে রয়েছে, সেটুকুও ছিন্ন করার জন্য যা করার করব৷ বৈশাখী রয়েছেন, ছিলেন, আছেন৷ আমি যখন হাত ধরি, ছাড়ি না৷ বৈশাখীর সঙ্গে বন্ধন হৃদয়ের বন্ধন৷ এই সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী এবং দামি, আমরা দু জনেই জানি৷ কোনও শক্তি আমাদের আলাদা করতে পারবে না৷’
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘রত্না চট্টোপাধ্যায় গতকাল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছিলেন, আজ আছেন, আগামিকাল থাকবেন কি না উচ্চ আদালত ঠিক করবে৷ আমাদের মধ্যে যখন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তখনও জানতাম ও ডিভোর্স মামলা লড়ছে৷ এতদিনে কোনওকিছুই আমাদের সম্পর্কের উপরে রেখাপাত করেনি৷ আমাদের সম্পর্কের ব্যপ্তিকে এসব দিয়ে মাপা যাবে না৷’