তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কুণালের উপস্থিতিতেই শোভন এ দিন দাবি করেছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন৷ বিজেপিতে যাওয়া তাঁর বড় ভুল ছিল৷ আবার কুণালও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় দলে ফিরলে ভাল লাগবে৷ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷’ আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: ‘১২ বছর আগে ছিল?’ শতাব্দী প্রাচীন কার্জন গেটের সামনে দাঁড়িয়েই অবাক দাবি সায়নীর
advertisement
২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ শোভনের সঙ্গেই বিজেপি-তে গিয়েছিলেন বৈশাখীও৷ তবে নতুন দলে একেবারেই মানিয়ে নিতে পারেননি শোভন৷ নানা ইস্যুতে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শোভন এবং বৈশাখীর৷ জল্পনা থাকলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শোভন বা বৈশাখী কাউকেই টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির৷ এর পরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই একসঙ্গে বিজেপি ছাড়েন শোভন এবং বৈশাখী৷
শোভন বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা জোরাল হয়৷ দলে না থাকলেও গত দু বছর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে ভাই ফোঁটা নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কানন৷ এমন কি, ২০২২ সালের জুন মাসে নবান্নে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শোভন- বৈশাখী৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেননি শোভন৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের একদা ঘরের ছেলে ফের জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ঘটান কি না, সেটাই এখন দেখার৷