তবে দক্ষিণ কলকাতার মহামায়া তলার মেঘা চক্রবর্তী টিকিট পেতেই ইউক্রেন ছেড়ে দেন। ডাক্তারি পড়ার সূত্রে ওই দেশের লভিভে থাকতেন তিনি ।ওখান থেকে পোল্যান্ড হয়ে,শ্রীলঙ্কার কলম্বো। তার পর কলম্বো থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় চলে আসেন ১৮ই ফেব্রুয়ারি। মেঘার মতো অনেকেই ২৪শে ফেব্রুয়ারির আগে ফিরে এসেছেন। ওঁদের বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। যার মাধ্যমে ওঁরা নিজেদের খবরাখবর জানতেন।
advertisement
দেশে ফিরে মেঘা ওই গ্রুপে জানতে পারেন কী ভয়ানক পরিস্থিতি ইউক্রেনের। ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ইউক্রেন। মোবাইলে ভিডিওতে দেখেন পোল্যান্ড সীমান্তে ছাত্রছাত্রীদের উপর অত্যাচার। ওঁর কথায়, ‘‘ইউক্রেন থেকে পাশের দেশে যেতে গিয়ে প্রথম চেকপোস্ট থেকে দ্বিতীয় চেকপোস্ট পর্যন্ত ৩০-৪৯ কিলোমিটার হাড় হিম করা শীতে হেঁটে যাচ্ছেন সবাই। চার বছর ডাক্তারি পড়ার সূত্রে ও দেশ দ্বিতীয় ভালবাসার দেশ হয়ে উঠেছিল। ওখানকার মানুষ খুব শান্ত স্বভাবের। সকলের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এখন যেমন ডাক্তারি পড়া শেষ করা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন সবাই। তার ওপর ভাল মানুষগুলো কেমন আছেন, তাঁদের নিয়েও চিন্তা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন ; তীব্র শীতে ৩৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সীমান্ত পার, বোমাবর্ষণ পিছনে ফেলে অবশেষে ঘরে
আরও পড়ুন ; জটিল স্ত্রীরোগ এড়াতে মহিলারা গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন এই সহজ নিয়মগুলি মেনে
মেঘা আরও জানান, খারকিভ,কিভ-সহ যে জায়গা গুলোতে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা মূলত থাকতেন, বেশির ভাগ ওই দেশ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের যেন ঠিকঠাক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়, আর্জি মেঘার ।