কেমন ছিল মনোজিৎ মিশ্র? কলেজের এক পড়ুয়া নিউজ১৮ বাংলার ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, কলেজে সবকিছু অরগানাইজ করত মনোজিৎ। ইভেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান। এমনকি বিভিন্ন পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম অর্গানাইজ করত। ওর বিভিন্ন সময় কলেজে যাতায়াত ছিল। কলেজের অনেকেরই ‘মনের’ দাদা ছিল মনোজিৎ।
advertisement
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় যে মূল অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছে, কে সেই মনোজিৎ মিশ্র? সামনে আসছে তার একাধিক পরিচয়৷ সূত্রের খবর, ২০২২ সালে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ থেকে পাশ করেছিল মনোজিৎ৷ বর্তমানে কলেজে টিএমসিপি-র কোনও সক্রিয় পদে না থাকলেও কলেজের বর্তমান অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তার ব্যাপক প্রভাব ছিল। তার প্রোফাইল বলছে আলিপুর দায়রা আদালতেও প্র্যাকটিস করত মনোজিৎ। দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট প্রেসিডেন্টও ছিল৷ পাশাপাশি, সদস্য ছিল জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের৷
এ ছাড়া, মনোজিৎ সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টও ছিল। নিজের পেশাগত পরিচয় হিসাবে উল্লেখ করেছে আলিপুর আদালতে ‘ক্রিমিনাল লইয়ার’ বা ফৌজদারি আইনজীবী। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকদিন ধরে যুব প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল মনোজিৎ। কলেজে থাকাকালীনও যথেষ্ট দাপুটে নেতা ছিল সে। এমনকি মারধরের ঘটনাতে নামও জড়িয়েছে বেশ কয়েকবার। সূত্রের খবর, এই ভাবে মহিলা ছাত্রীদের নির্যাতন করে ভিডিও করে রেখে ব্ল্যাক মেইল করার ঘটনা এই প্রথম নয়৷ এমনটা আগেও করেছে মনোজিৎ৷
মনোজিৎ ছাড়া আরও যে দু’জন জায়েদ আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় যে অভিযুক্ত রয়েছেন তাঁরাও টিএমসিপির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়।