এক এক করে আসা যাক সেই সমস্ত কেসের কথায়৷
প্রথমে ২০১৭, এপ্রিল, এক ব্যক্তিকে মারধর, কলেজ ক্যাম্পাসে ভাঙচুর
২০১৯ এর জুলাই সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজেই এক ছাত্রীর জামা ছিঁড়ে দেওয়ায় অভিযোগ দায়ের
২০১৯ এর ডিসেম্বরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে মিউজিক সিস্টেম,পারফিউম, চশমা চুরি
২০২২ এর মার্চে এক মহিলার শ্লীলতাহানি
২০২৪ সালের মে মাসে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর, কলেজের সম্পত্তি ধ্বংস
advertisement
থানা কখনও কসবা, কখনও আনন্দপুর, কখনও টালিগঞ্জ, কখনও কালীঘাট, কখনও হরিদেবপুর৷ থানা আলাদা অভিযুক্তের নাম এক, মনোজিৎ মিশ্র৷
কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ জানিয়েছে, এই ম্যাঙ্গো দা’র ভয়ে নাকি কলেজেও আসতে চাইত না তারা৷ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে পিকনিক, সব জায়গায় মেয়েদের, বিশেষ করে জুনিয়র মেয়েদের টার্গেট করত৷ মুখে বোন-বোন করলেও তার ফেভারিট পিক আপ লাইন হয়ে যেত, ‘‘আমায় বিয়ে করবি?’’ গত ২৫ জুন বিকেলের দিকে নির্যাতিতাকেও এই একই প্রশ্ন করেছিল মনোজিৎ৷
আরও পড়ুন: পুলিশের হাতে এবার জাইবের CCTV ফুটেজ! ঘটনার মাঝেই কলেজের বাইরে…মিলিয়ে দেখা হচ্ছে সব
কলেজের ছাত্ররা জানিয়েছে যে মনোজিৎ ছাত্রীদের ছবি তুলত, তারপর সেগুলো বিকত করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দিত। ছাত্রীদের যখন তখন কটূক্তি, বডি শেম করা ছিল তার অভ্যেস৷ কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরাও তাকে ভয় পেত৷ বেশি কিছু বললেই মনোজিৎ নাকি বলত, উঁচু তলার নেতাদের সঙ্গে তার ওঠাবসা৷
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ জুন ধর্ষণ করার অভিযোগ সে অস্বীকার করেছে৷ সে জানিয়েছে, যা হয়েছিল, উভয়পক্ষের সম্মতিতেই হয়েছিল৷