দু'হাজার পাঁচে শুরু হওয়া সেই উদ্যোগের ফলন এবার কলকাতার বাজারে। নাবার্ডের উদ্যোগে শহরে হয়ে গেল আম পার্বণ। আম্রপালী, হিমসাগর, ল্যাংড়ার স্বাদ পেলেন আমভক্ত বাঙালিও।
বাঁকুড়া, বীরভূম, পঞ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার পিছিয়ে থাকা জঙ্গলমহল এলাকা। রুক্ষ জমিতে যে ফলন ধরে, সেকথা এখানকার উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অজানাই ছিল। কিন্তু, সেই অনুর্বর জমিতেই যে আম, কাজুর চাষ করে বাড়তি উপার্জন সম্ভব, তা করে দেখিয়েছে রাষ্ট্রিষ কৃষি ও গ্রামিণ বিকাশ ব্যঙ্ক বা নাবার্ড।
advertisement
প্রায় তেইশ হাজার আদিবাসী পরিবারকে নিয়ে কাজ করছে নাবার্ড। ফলও মিলেছে। এতোদিন চাষিরা স্থানীয় বাজারেই আম বিক্রি করতেন। কিন্তু, এবছর কলকাতায় বিশেষ প্লাটফর্ম তৈরি করেছে নাবার্ড, নাম আম পার্বণ। ট্যাংরা এলাকায় সেই আম পার্বণে ছিল আম্রপালী, হিমসাগর, ল্যাংড়ার স্বাদ।
পরিবার পিছু এক একর জমি বরাদ্দ করেছিল নাবার্ড। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাক মাধ্যমে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকার চাষ সামগ্রীও পৌঁছে গেছে তাদের কাছে। নাবার্ডের এই উদ্যোগে খুশি জঙ্গলমহলের আম চাষিরা।
আদিবাসী এলাকা থেকে কলকাতার বৃহত্তর বাজারে আসতে পেরে খুশি তাঁরা। এবারে বিক্রি কম হলেও, শহুরে ক্রেতাদের স্বাদ বুঝতে পেরেছেন তাঁরা।