বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে সৌরভকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন অশোকবাবু। বেহালার বীরেন রায় রোডের গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের বন্ধু অশোক ভট্টাচার্য লেখেন, "আজ দুপুরে সৌরভ ফোন করেছিল। ও জানাল ওর সম্পর্কে যা লেখা হচ্ছে তা ঠিক না। রাজনীতিতে ও নেই। কথা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির খবর নিল। ব্রিগেডে আমাকে দেখা যায়নি কেন জানতে চাইল? বললাম ছিলাম মাঠে, মঞ্চে নয়। আমাকে আগাম শুভেচ্ছাও জানাল। কলকাতায় এলে ওর সঙ্গে দেখা হবে বললাম।"
advertisement
অশোক ভট্টাচার্যের এই পোস্টের পর কার্যত সমস্ত জল্পনা শেষ হয়ে গেল৷ অশোকবাবু নিজে দাবি করেছেন, সৌরভ তাঁকে নিজে ফোন করে বিস্তারিত জানিয়েছেন। অর্থাৎ ব্রিগেডে সৌরভ যে যাচ্ছেন না তা আরও একবার নিজের মুখেই জানিয়েছেন মহারাজ। গত মঙ্গলবার দুপুরে যখন আচমকা সৌরভের বিজেপিতে যোগদানের খবর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। তখনই সৌরভ নিউজ18 বাংলাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন খবরটি ভুল। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর কোনও ভাবেই কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি সৌরভ। আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধনের যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেন ডাক্তারের পরামর্শ মেনে। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা হয়নি বোর্ড প্রেসিডেন্টের।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সৌরভের রাজনীতি যোগ সম্বন্ধে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন মহলের দাবি ছিল সৌরভ নাকি বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। এমনকী সৌরভ নাকি ঘনিষ্ঠমহলে বিজেপির তরফ থেকে যে চাপ রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তৃণমূলের তরফ থেকে সৌরভের কাছে প্রস্তাব ছিল। সেই সময় সৌরভ নিউজ18 বাংলাকে জানিয়েছিলেন, তাঁর রাজনীতিতে যোগদানের কোনও সম্ভাবনা নেই। ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে চান।
যদিও সৌরভের মন্তব্য স্পষ্ট করার পরেও রাজনৈতিক যোগের জল্পনা বাড়তেই থাকে। তবে অসুস্থ হওয়ার পর কিছুটা ধামাচাপা পড়ে যায় সেই জল্পনা। বছরের শুরুতে যখন সৌরভ অসুস্থ হয় তখন তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করেছিলেন। নিউজ18 বাংলায় সেই খবর এসক্লুসিভ প্রকাশিত হয়। অতীতেও সৌরভের কাছে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রস্তাব ছিল বলেও সৌরভের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। তবে বরাবরই সৌরভ সেটিকে না করে এসেছেন।
ঈরণ রায় বর্মন