শনিবার বিকেলে সেই টাকার অঙ্ক ছাপাল ২১ কোটি! টাকা গুনতে ব্যাঙ্ককর্মীদের সাহায্য নেওয়া হয়। আনা হয় টাকা গোনার যন্ত্রও। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের পরে তা নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাক পাঠায় আরবিআই! সেই ট্রাক ভর্তি সারি সারি ট্রাঙ্ক! সেই ট্রাঙ্কে বোঝাই করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রত্যক্ষদর্শিরা নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, এ যেন সিনেমা...
advertisement
আরও পড়ুন: পুজো আনন্দে কাটাতে হলে বুস্টার ডোজ নিন, করজোড়ে আবেদন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
বহুদিন ধরেই ফিল্ম জগতের সঙ্গে যুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অনেকদিন আগে ‘ইটিভি’-তে ‘বামাক্ষ্যাপা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই ধারাবাহিকে অর্পিতার সহ-অভিনেতা ছিলেন সৌরভ সাহা, বামার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সহ-কর্মী ২১ কোটির 'মালকিন', কী বলবেন? সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন, '' বহুদিন আগে অর্পিতার সঙ্গে ‘বামাক্ষ্যাপা’য় অভিনয় করেছিলাম। তার পর আরও এক-দুবার একসঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু ওর সঙ্গে কোনওদিনই সেরকম আলাপ-পরিচয় বা বন্ধুত্ব ছিল না।'' সৌরভের ভাষায়, '' অর্পিতা বাইচান্স অভিনেত্রী! ও যে ধরনের অভিনেত্রী, তাতে অভিনয় থেকে ২০ কোটি রোজগার সম্ভব নয়! এটা হলফ করেই বলতে পারি! ওর মতো সুযোগ সন্ধানী মানুষ সমাজের প্রতিটা স্তরেই আছে। এদের জন্য আমার তরফ থেকে একরাশ ঘৃণা-লজ্জা-হতাশা!''
আরও পড়ুন: আদিবাসী এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের সাফল্য তুলে ধরবে দল
হালে সৌরভকে দেখা যায় জনপ্রিয় ধারাবাহিকে 'রামকৃষ্ণ'-র চরিত্রে! তিনি আরও জানান, '' আমি একজন অভিনেতা, অর্পিতাও তাই! ভাল অভিনয়ের জন্য পরিচিত হব, এটাই একজন অভিনেতার জীবনের মূল লক্ষ্য হয়! অথচ, অর্পিতা কী জন্য পরিচিত হল দেখুন! অভিনেতা হিসেবে আমার আজ লজ্জা লাগছে! কোথাও তো আমাদের শিল্পর দিকেও আঙুল উঠল! অবশ্য, এই ধরনের মানুষ সমাজের নানা স্তরেই আছে! ''
কিছু দিন আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সৌরভকে। তিনি বললেন, '' আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি রাজনৈতিক কোনও দলে, কোনও সদস্যপদে নেই। মুখ্যমন্ত্রী আমার জীবনে পূজনীয়। বহু আগে থেকেই! নানা সময়ে, নানা সমস্যায় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার বড় হওয়া খড়দায়! রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। ছোট থেকেই রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছি। বাবা সক্রিয় বাম-রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ৯৭ সালে বাধ্য হন দল ছেড়ে দিতে। ২০০০ সালে বাবাকে গুলি মারার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছুটে আসেন খড়দায়, বিশাল মিটিং হয়! এগুলো কী করে ভুলব? আমি ভাগ্যবান মুখ্যমন্ত্রীর ভালবাসা পেয়েছি।''