গড়িয়া এলাকার একটি সাইকেল মেরামতের দোকানে গিয়ে হর্ন কিনতে চাইলে,তিনি সমস্ত মালপত্রের পেছন থেকে একটা পলিথিনের মধ্যে গোটা তিনেক হর্ন বের করে দেখান।কেন এত কম? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,এই হর্ন সেরকম আর চলে না। এখন প্যাডেল রিকশা, ভ্যান অনেক কমে গেছে। যার ফলে ওই হর্ন কেউ ব্যবহার করে না।
আরও পড়ুন - Cyclone Alert: আইএমডি রেখেছে কড়া নজর, বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোন নিয়ে মুখ খুলল,ওয়েদার আপডেট
advertisement
লরিচালক সতনাম সিং তিনি বললেন,আগে লরি কিংবা বাসে রাবার বল হর্ন ব্যবহার হত। সে সময় ইলেকট্রিক হর্ন বাজালে নাকি পুলিশ ধরপাকর করত। সতনামের কথা অনুযায়ি ,কুড়ি বছরের আগে যে গাড়ি ছিল,এখন সেই গাড়ির ইঞ্জিন থেকে আরম্ভ করে সমস্ত কিছু বদলে গেছে।
গাড়ির গতি বেড়েছে। রাস্তা চওড়া হয়েছে। যার জন্য বিশেষ কোনও কারণ ছাড়া যানজট হয় না। সৌখিনতার জন্য কেউ রবার হর্ন ব্যবহার করেনা।
আরও পড়ুন - Mamata Banerjee in Malda: তিনদিনের মালদহ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ট্রেনে করেই সফরে যাবেন মমতা
এখনও বেলেঘাটায়, রাবার বল তৈরি করেন প্রকাশ দাস।সেই কারখানা তৈরি করেছিলেন তার ঠাকুরদা।তার কথায়,আগে যে পরিমাণে রাবার বল তৈরি হত।এখন তা ১০থেকে ১৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি জীবিকার তাগিদেয় ওটার পাশে অন্য সামগ্রী বানাচ্ছেন।তার কথায় রাবার বল হর্ন একটি ঐতিহ্য বজায় রাখে। শব্দ দূষণ কমায়।কুড়ি বছরের মধ্যে যেভাবে এই রাবার বল হর্ন উধাও হয়ে গেছে।
যার কুফল হিসেবে রাস্তায় দাঁড়ালেই টের পাওয়া যায় মোটর ভ্যান,রিক্সা ,বাইক গাড়ির সিটি থেকে কতটা শব্দ দূষণ হচ্ছে! এই শব্দ দূষণ নিয়ে পরিবহন দফতর ইতিমধ্যে কাজকর্ম শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি,শব্দ দূষণ কমাতে যেরকম ইলেকট্রিক গাড়ির প্রয়োজন রয়েছে,সঙ্গে রাবার বল হর্ন যদি ফেরত আসে। তাহলে নিয়ন্ত্রণে আসবে শব্দ দূষণ।
Shanku Santra