আদালতের নির্দেশে নির্দিষ্ট শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল অতিক্রান্ত। পরিবেশ গবেষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বললেন, 'সাইক্লোনের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে আমরা ভেবেছিলাম শব্দবাজির দাপট এ'বছর কম হবে। কিন্তু তাকে উপেক্ষা করেও প্রভূত শব্দবাজি ফেটেছে'। কলকাতা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে একই ছবি। কলকাতার জায়গায় জায়গায় শব্দ-দানব। সাউন্ড লেভেল মিটার মেশিনে ১১০ ডেসিবেল। আবার কোথাও বা তারও বেশি নজরে। পরিবেশ গবেষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে নিউজ 18 বাংলা ঘুরে দেখল কালীপুজোর রাতে কলকাতার নানা প্রান্ত। সুদীপ্তবাবুর কথায় ' আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমরা আশা করেছিলাম, শব্দবাজির দাপট অনেকটাই কম থাকবে। তবে গতবছর যা ছিল এবছরও রাতভর শব্দ বাজির দাপট একই ছিল'।
advertisement
শুধু যাদবপুরই নয়, আনন্দপুর, কালিকাপুর, গড়িয়া, বেহালা থেকে দত্তাবাদ, হাতিবাগান থেকে শ্যামবাজার... কালী পুজোর রাতে শব্দ দানবের ছবিটা সর্বত্র একই ছিল। সাউন্ড লেভেল মিটারে সর্বত্রই সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেলের অনেক বেশি নজরে এল দেদার শব্দবাজির দাপট। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ থেকে পুলিশি ধরপাকড়, বাজি বাজার থেকে সবুজ বাজি বিক্রির ব্যবস্থা, এতসবের পরেও কালী পুজোর রাতে আবহাওয়া জনিত কারণে নজিরবিহীন ভাবে দূষণ কম হলেও কলকাতার শব্দ বাজির দাপটের সেই চেনা ছবিই ফের আরও একবার সামনে এল।
VENKATESWAR LAHIRI