রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আমাদের সকলের উচিৎ রাজনীতির উর্দ্ধে কোভিড ও ইয়াস এই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্টের পর রাজ্য রাজনীতিতে এতদিনের গুঞ্জন যেন নতুন করে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাহলে সোনালী-সরলাদের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহতলে যেতে চাইছেন রাজীবও? সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইটটি রিট্যুইট করে সৌমিত্র খাঁ লেখেন, ‘৪২হাজার ভোটে হারার পর মনে পড়লো? বিজেপির ৪২জনের বেশি কর্মীরা মারা গেছে,তখন চুপ থাকা মানে শাসক দলকে সমর্থন করা।মোদি সরকার করোনার জন্য ফ্রি তে ভ্যাকসিন,অক্সিজেন ও সব রকম সাহায্য করছে।আর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মোদি জি নিজে এসেছেন। ৪০০কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যেকে।”
সৌমিত্র খাঁ আরও লেখেন, ‘আরও যা যা ক্ষতি হয়েছে তা কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করবে। আমরা বিরোধী দল আমরা সরকারের গঠন মূলক কাজে সাহায্য করব। ভুল হলে পথে নামব৷ আপনি নীরব না থেকে বিজেপির কর্মীদের পাশে থাকলে ভালো হয়। না হলে গাড়ির পিছনে যে ছবিটা আছে সেটা আবার সামনের সিটে নিয়ে আসুন।” এরপর সৌমিত্র খাঁ আরও একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘এটা দলের বক্তব্য নয়, এটা সম্পূর্ণ নিজের মতামত আমার।”
সৌমিত্র খাঁ কে নিয়েও বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। কিন্তু তিনি কদিন আগেই সেই জল্পনায় জল ঢেলে বলেন যে, ‘বিজেপি ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” এরপর আজ হেস্টিংসে বিজেপির বৈঠকের আগে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন, আমি সেদিনই তৃণমূলে যাব।” সৌমিত্র খাঁয়ের এই মন্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি বিজেপিতো ছাড়ছেনই না, পাশাপাশি তৃণমূলকে রেহাই দেবেন না।