অমিত শাহের সভা নিয়ে শাসক ও কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সোমেন মিত্র ৷ এমনকী শাসকদলের সঙ্গে গোপনে আঁতাতেরও অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ বলেন, ‘আজ সারাদিন কলকাতা পুলিশ, অমিত শাহের সভাকে সফল করার জন্য যেভাবে অতি সক্রিয়তা দেখাল সেটা এককথায় অভূতপূর্ব। মুখ্যমন্ত্রী - অমিত শাহের দিল্লির সেটিং কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন বড়কর্তা রাজীব কুমারকে বাঁচিয়েছিল। ভুবনেশ্বরের সেটিং - এর পরে আজ দিদি গৃহমন্ত্রীকে 'রিটার্ন গিফট' দিলেন। এমনকি ধর্মতলা চত্বরে যারা ‘গোলি মারোর’ স্লোগান দিল তাদেরও পুলিশ জামাই আদর করে শহীদ মিনারে পৌঁছে দিল।’
advertisement
এখানেই শেষ নয়, সোমেন মিত্রের নিশানায় গেরুয়া শিবিরও ৷ বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘যারা দেশটাকে ভাঙতে চাইছে, যারা পাকিস্তানের সাথে ভারতকে তুলনা করে, তারাই তো গদ্দার। এই গদ্দারকে বাঁচানোর জন্য কংগ্রেস—বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ পেশী ব্যবহার করল। পুলিশের রক্ত-চক্ষু উপেক্ষা করে আজ যারা খুনি অমিত শাহের বিরুদ্ধে গো-ব্যাক স্লোগান দিলেন তাঁদের হাজার সেলাম। এদিকে বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’ স্লোগান হাস্যকর।যাদের খুন থেকে দেশ টুকরো করার চেষ্টার মত অন্যায়ের সীমা নেই, তারা কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে ?’
অমিত শাহের সভা শুরুর আগেই ধর্মতলা চত্বরে ধুন্ধুমার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে, রবিবার দুপুরে গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে বিক্ষোভে বসে পড়ুয়ারা। বিক্ষোভে যোগ দেয় বাম-কংগ্রেস সমর্থকরাও। তখন উলটো দিক থেকে বিজেপির মিছিল আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শোনা যায় গোলি মারো ও আজাদি স্লোগানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ৷