তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েও মুকুল রায়, সোনালী গুহ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী দত্ত, সুনীল মণ্ডলরা একে একে ফিরে এসেছেন পুরনো দলেই। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বঙ্গ বিজেপির 'পোস্টার বয়' এখন শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে এবার রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ''কিছুদিনের মধ্যে বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভে যেতে চলেছে। তিনিও তৃণমূলে ভিড়তে পারেন। এখন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।' কিন্তু কেন এমন দাবি সৌমেনের? তাঁর দাবি, ''নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে এখন। সেই মামলার রায় প্রকাশ হয়ে গেলেই তিনি আর বিরোধী দলনেতা থাকবেন না।'' একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী দাবি করেন, খুব শীঘ্রই বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৩০-এর নীচে নেমে চলে যেতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তাহলে কি দল ছাড়ছেন? দিলীপ ঘোষকে পাল্টা প্রত্যাঘাত তথাগত রায়ের! লিখলেন, 'যতক্ষণ না...'
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের নিশানায় এবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! BJP নেত্রীর উপর বেজায় ক্ষুব্ধ 'কেষ্ট দা'
প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলে থাকার সময়ও শুভেন্দুর বিপরীত গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন সৌমেন। হঠাৎ তিনি কেন শুভেন্দুর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ মাঠে রবিবার সভা করে তৃণমূল। সেই সভায় সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন যারা, তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর যোগদান কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যে এবার পাল্টা পথে BJP, অনুমতি-হীন কর্মসূচিতে আজ কি রুদ্ধ হবে কলকাতা?
সৌমেন মহাপাত্র যখন এই দাবি করছেন, তখন তৃণমূলের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, তমলুক জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ানরা। ১০ নভেম্বর শহিদ দিবস উদযাপনের ঘোষণা করা হয় এই মঞ্চ থেকে। কিন্তু সব ছাপিয়ে গিয়েছে শুভেন্দুকে নিয়ে সৌমেন মহাপাত্রর দাবি। যদিও এই দাবি প্রসঙ্গে শুভেন্দু নিজে কী বলেন, সেটাই এখন দেখার।