প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কীর্তিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকেও, তা স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “এমন দুর্নীতি দেশে বিশেষ দেখা যায়নি, লোকের কাছে কী জবাব দেব?’’এসএসসি দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। ইডি প্রকাশ্যে এনেছিল উদ্ধার হওয়া সেই টাকার পাহাড়। অর্পিতা বারবার দাবি করেছেন তিনি কিছু জানতেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। দুর্নীতির সঠিক তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন প্রত্যেকেই। শুধু রাজ্যের মানুষ নয়, দলের নেতাদের অনেকেও প্রকাশ্যে পার্থের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
advertisement
এরই মধ্যে যে চার্জশিট পেশ হয়েছে আদালতে। তার ছত্রে ছত্রে একাধিক নতুন তথ্য উঠে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় স্বীকার করে নিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে দলকে। তিনি জানিয়েছেন, “এমন দুর্নীতি দেশে আগে বিশেষ দেখা যায়নি। লালুপ্রসাদ জেল খাটলেও টাকা উদ্ধার হয়নি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের থেকে ৩-৪ কোটি উদ্ধার হয়েছে। ৫০ কোটি টাকার ছবি না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না।” এর সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন, “টাকার পাহাড় দেখার পর লোকের কাছে কী জবাব দেব? ওই বিড়ম্বনা, লজ্জা তো আমাদের আছেই।” শুধু সৌগত রায় নন, দলের অনেক নেতার গলাতেই এক সুর। এর আগে পার্থ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আর এক নেতা তাপস রায়ও। এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন খড়দহের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।
খড়দহ বিধানসভার বিলকান্দায় দলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, “বিধানসভায় আমি বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন কোর্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে আসতে হবে। নাহলে দল কাউকে স্বীকার করবে না। চোর প্রমাণ হলে দল তাকে সহ্য করবে না।” দুর্নীতি ইস্যুতে বিজেপি-বাম যখন চেপে ধরছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তখন তৃণমূলের এই দুই বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
