মৃত মায়ের দেহ ফ্রিজারে রাখার পিছনে দেহ সংরক্ষণ সংক্রান্ত গবেষণা নাকি অপরাধমনস্কতা ? জেমস লং সরণির ঘটনা নিউজ এইটিন বাংলা তুলে ধরার পর এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। গত পাঁচ তারিখ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আমাদের স্টুডিওতে বসেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা দাবি করছিলেন এই ঘটনার পিছনে কাজ করেছে শুভব্রত’র অপরাধমনস্কতাই। তাঁদের সঙ্গে কার্যত একমত পাভলভের চিকিৎসকরাও।
advertisement
আরও পড়ুন-শুভব্রত কি আদৌ স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ?
বিজার ডিলিউশনে ভরা শুভব্রত’র জীবন। যা অমানুষিক এবং অবিশ্বাস্য। এটা অপরাধমনস্কতার ইঙ্গিত দেয়। রবিবারও দিনভর তাঁর সঙ্গে কথা বলে সেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক ভাবে শুভব্রত’র মধ্যে স্কিৎজো এফেক্টিভ ডিসআর্ডারের কথাই তুলে ধরছেন চিকিৎসকরা। আরও স্পষ্ট হতে শুভব্রত’র সিটিস্ক্যান ও এমআরআই হবে।
চিকিৎসকদের দাবি, মা ফিরে আসবেন এই বিশ্বাসে ফ্রিজে মস্তিক রাখলেও অন্য অঙ্গগুলি কেটে আলাদা করেছিলেন শুভব্রত। আলাদা পাত্রে সেগুলিকে আবার ফ্রিজের মধ্যেই রাখা হয়েছিল। শুভব্রতর জীবনের এই ভ্রান্তি ভাবচ্ছে চিকিৎসকদের। এদিকে, ময়নাতদন্তের পর সোমবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বীণা মজুমদারের দেহ।